রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামে মাইশা নামে ৫ মাস বয়সের একটি কন্যা শিশুর মর্মান্তিক ও রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। জিয়াউর রহমান ও তানিয়া খাতুন দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান মাইশা। রোববার সন্ধ্যায় বাড়ির অদুরে একটি খালে ওই শিশুটির ভাসমান লাশ খুঁজে পায় স্থানীয়রা। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় গতকাল সোমবার সকালে শিশুটির দাফন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঘটনার একদিন পরও কোন মামলা হয়নি।
৫ বছর বয়সী তাইয়েবা নামে ওই দম্পতির আরও একটি কন্যা সন্তান আছে। পরপর দুটি কন্যা শিশু জন্ম হওয়ায় ওই শিশুটিকে পরিবারের কেউ হত্যা করতে পারে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসি। একাধিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে তারা বিষয়টি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকার অনেকে। ফয়সাল আলম নামে এক প্রতিবেশীসহ অনেকে জানান, গত রোববার সকালে মাইশাকে বাড়িতে রেখে তার মা তাহমিনা খাতুন বিএ পরীক্ষা দিতে মাগুরা শহরে যায়। শিশুটির বাবা জিয়াউর রহমান নিজ জমিতে চাষাবাদের কাজে সকাল থেকেই মাঠে ছিল। বিকেলে তাহমিনা বাড়িতে ফিরে ঘরে গিয়ে শিশুটিকে না দেখতে পেয়ে তার শ্বাশুড়ি রেবেকা বেগমের কাছে শিশুর ব্যাপারে জানতে চান। তিনি জানান শিশুটি ঘরেই ঘুমিয়ে আছে। কিন্তু ঘরের মধ্যে কোথাও না পেয়ে অনেক খোঁজাখুজির পর শিশুটির লাশ পার্শ্ববর্তী একটি খালের পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় বিষয়টিকে অশরীরি কোন অপশক্তির কাজ বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে রেবেকা বেগম। রাতে পুলিশ এলে তাদের কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি।
ফয়সাল জানান- বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান জিয়াউর রহমানের পরিবারে কোন পুত্র সন্তান না হওয়ায় তার মা রেবেকা বেগম প্রায়ই পুত্রবধূ তাহমিনা বেগমকে বকাঝকা করতেন। এমনকি পুত্রসন্তান লাভের আশায় জিয়াউর রহমানকে আবারও বিয়ে দেয়ার কথা বলতেন তিনি।
এ অবস্থায় হাটতে না জানা এ ছোট্ট শিশুটি বেশ খানিকটা দূরবর্তী খালে কিভাবে গেল? তার পেটে কোন পানি ছিল না? খালের পাড়ে পরে থাকা শাড়িটি কার? ইত্যাদি বিষয় খতিয়ে দেখার আহবান জানিয়েছেন তারা। মাগুরার পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান জানান- ঘটনার পর পুলিশ ওই বাড়িতে গেছে। কিন্তু শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় এখনও মামলা হয়নি। তবে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।