Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

যুক্তরাষ্ট্রের জবাবে চীনের ‘মোয়াব’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ৭:৪০ পিএম

শক্তিশালী দানব বোমা ‘মোয়াব’ বানিয়ে ফেলল চীন। এই বোমার সফল পরীক্ষার ভিডিও সে দেশের সংবাদমাধ্যম শুক্রবার প্রকাশ করেছে। ২০১৭ সালে আফগানিস্তানে ‘মাদার অব অল বম্বস’ (মোয়াব) ফেলেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই বোমা তারই চৈনিক সংস্করণ বলে দাবি করেছে বেইজিং। পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্র বাদ দিলে, এটাই তাদের হাতে থাকা সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা।
প্রতিরক্ষা সংস্থা চায়না নর্থ ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপ কর্পোরেশন লিমিটেড (নরিনকো) বোমাটি তৈরি করেছে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে এইচ-৬কে বোমারু বিমানের মাধ্যমে নিক্ষেপ করে সেটির সফল পরীক্ষা করা হয়। যার ভিডিও আপলোড করা হয় নরিনকো-র ওয়েবসাইটে। বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, বোমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুনের কুণ্ডলী-তে ঢেকে যায় চারদিক।
পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হলেও এতদিন অস্ত্রশস্ত্রের পরীক্ষা গোপনেই করত চীন। এই প্রথম এ ভাবে নতুন কোনও বোমা নিয়ে ক্ষমতা জাহির করতে দেখা গেল তাদের। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র গেøাবাল টাইমসে বোমাটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন বেইজিংয়ের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ উই দোংজু। তিনি জানিয়েছেন, বোমাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৫-৬ মিটার। ওজন বেশ কয়েক টন। আকারে বড় হওয়ায় একবারে একটা বোমাই বহন করতে পারে এইচ-৬কে বোমারু বিমান। তিনি জানান, ‘শক্তিশালী ওই বোমা একটা গোটা এলাকা গুড়িয়ে দিতে পারে। আবার সেনাবাহিনীরও কাজে আসতে পারে। বন্ধুর এলাকা এবং বন-জঙ্গল সাফ করে সেখানে সেনা ঘাঁটি বানাতে চাইলে, অথবা কপ্টার ওঠানো নামানো করতে চাইলে, একটি বোমা ফেললেই হবে। মুহূর্তে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে গোটা এলাকা।’ যুক্তরাষ্ট্রের মোয়াবের চেয়ে তাদের বোমাটি বেশি উন্নত বলেও দাবি করেছেন উই দোংজু। তার দাবি, ‘মার্কিন বোমার তুলনায় এই বোমাটি ওজনে হাল্কা। যে কারণে বোমারু বিমান থেকেই নিক্ষেপ করা সম্ভব। তাই দ্রæত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানো সম্ভব।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোয়াবের চেয়ে বড় থার্মোব্যারিক বোমা রয়েছে রাশিয়ার হাতে। যাকে ‘ফাদার অব অল বম্বস’ (ফোয়াব) বলা হয়। মোয়াবের চেয়ে আকারে বড় এই বোমা। গ্যাস ব্যবহার করা হয় বলে এই বোমা পড়লে অভিঘাতের সৃষ্টি হয় না। তার বদলে মাশরুমের মতো দেখতে মেঘের সৃষ্টি হয়। তবে চীনা মোয়াব থার্মোব্যারিক নয় বলে দাবি করেছে নরিনকো। সূত্র: গ্লোবাল টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ