পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, তুরস্ক গরিব মানুষের দুর্গ হিসেবেই থাকবে। ইস্তাম্বুলে তুর্কি যুব ফাউন্ডেশনের বৈঠকে শনিবার তিনি বলেন, যখন ধনী দেশগুলো শরণার্থীদের মহামারী হিসেবে আখ্যায়িত করছে, তখন কয়েক লাখ শরণার্থীকে আমাদের খাবারের ভাগ দিয়েছি। তিনি বলেন, তুরস্ক সবসময় নিপীড়িত ও নিরপরাধ মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। আমরা সর্বদা ন্যায়ের পথ বেছে নিয়েছি। এএফপির খবরে বলা হয়, অসংখ্য সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে তুরস্ক, যা পৃথিবীর যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে শরণার্থীদের সাহায্য ও আশ্রয় দিতে ৩৫ মিলিয়ন ডলার অর্থ ব্যয় করেছে তুরস্ক। রয়টার্স জানায়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগানকে চলতি বছরের ‘বিশ্ব মুসলিম ব্যক্তিত্ব’ খেতাবে ভূষিত করেছে নাইজেরিয়ার একটি ইসলামপন্থী দৈনিক পত্রিকা। কারণ, বিশ্বজুড়ে নিপীড়িত নির্যাতিত মজলুম মুসলমানদের অধিকারের পক্ষে কাজ করায় পত্রিকাটির প্রশংসা কুড়িয়েছেন এরদোগান। নাইজেরিয়া মুসলিম নিউজ নামের দৈনিকটির প্রকাশক রাশেদ আবু বাকার বলেন, এরদোগানকে ‘বিশ্ব মুসলিম ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। কারণ এ ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী যে প্রভাব বিস্তার করেছেন, তা নিয়ে কোনো রকম বিতর্ক নেই। প্রসঙ্গত, নাইজেরিয়ার মুসলমানদের মধ্যে বিপুলসংখ্যক এরদোগান সমর্থক যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছে এরদোগানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা। তিনি বলেন, বিশ্বে যেখানে মুসলমানদের কণ্ঠ রুদ্ধ ও প্রতিরোধহীন করে দেয়া হয়েছে, সেখানে এরদোগান নিজের কণ্ঠ আরও উচ্চকিত করে বিশ্ব মুসলিমের নেতায় পরিণত হয়েছেন। যদিও তার বিরুদ্ধে নানা রকম নোংরামি প্রচার করা হয়েছে। এ পত্রিকার প্রকাশক বলেন, যেখানে ইসরাইলি সেনাদের হাতে ফিলিস্তিনিদের হত্যাকাÐ নিয়ে মুসলিম বিশ্ব নীরব রয়েছে, এরদোগান সেখানে তাদের পক্ষে কথা বলেছেন ও পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ ছাড়া মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ও চীনের উইঘুর মুসলমানদের রক্ষায় তার ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য বলে জানান তিনি। কেবল কথা বলেই তিনি নিজের দায়িত্ব সারেননি, তাদের মানবিক সাহায্যে এগিয়ে গেছেন এরদোগান। প্রভাবশালী মুসলমানদের মধ্যে এরদোগানের পর রয়েছেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, মাহাথির মোহাম্মদ, শেখ ইউসুফ আল কারজাভী ও সউদী সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমান। আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় ও মুসলিম বিশ্বে তার প্রভাব অনস্বীকার্য বলে জানান আবু বাকার। এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।