Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে দুর্নীতি দুদকের মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন বাদী

প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আবদুল ওয়াজেদ কচি, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের ভারী যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ১৩ কোটি ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৫২৫ টাকা দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
অতিগোপনে গত ৮ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম আদালতে এই প্রতিবেদন দেন। হঠাৎ বৃহস্পতিবার বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এদিকে, অভিযোগ থেকে আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠালগ্নে সংঘটিত এই দুর্নীতির বিষয়টি ধামাচাপা পড়তে বসেছে। দুটি মামলার আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ ও পরিচালক ডা. এস জেড আতিক, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট রুহুল কুদ্দুস, জুনিয়র কনসালট্যান্ট নারায়ণ প্রাসাদ সান্যাল, সিনিয়র কনসালট্যান্ট একেএম জাহাঙ্গীর আলম, আবাসিক মেডিকেল অফিসার মারুফ হাসান, জুনিয়র কনসালট্যান্ট রহিমা খাতুন, মহাখালী ন্যাশনাল ইলেক্ট্রো মেডিকেল ইকুইপমেন্ট মেইন্টেন্যান্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের অ্যাসিসট্যান্ট রিপায়ার হাবিবুর রহমান, সাতক্ষীরা সমাজসেবা অধিদফতরের সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা একে এম সোহরাব হাসান, কুষ্টিয়া গণপূর্ত উপ-বিভাগ-১ এর হারুন-অর-রশীদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপ-সচিব আবদুল মালেক এবং সেগুন বাগিচা মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটার আবদুস সাত্তার।
২০১৫ সালের ২৮ আগস্ট রাতে দুদকের সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা (৫৩ ও ৫৪নং) দুটি দায়ের করেছিলেন। এর আগে দুদকের সভায় সংশ্লিষ্টদের নামে মামলা দায়েরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল- সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি, ইডিসিএল বহির্ভুত ওষুদপত্র, সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি, গজ ব্যান্ডেজ, কেমিক্যাল সামগ্রী, কিচেন সামগ্রী ও আসবাবপত্র ক্রয়ের লক্ষ্যে উল্লিখিতরা পরস্পস যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বা অবৈধভাবে লাভবান হয়ে বাজার দরের চেয়ে বেশি দামে মূল্য তালিকা তৈরী করেন। সে অনুযায়ী দরপত্র আহবান করা হয় এবং দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি অবৈধভাবে লাভবান হয়ে বাজার দর যাচাই না করেই ঠিকাদার মেসার্স মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালকে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহের জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। পরে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বিলও উত্তোলন করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। এবং সেখানেও অবৈধভাবে লাভবান হন সংশ্লিষ্টরা। এই দুর্নীতির মাধ্যমে ৭ কোটি ৫১ লক্ষ ২১ হাজার ৫০১ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি পরবর্তীতে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ