পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে আজ তাঁর সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং টনি ব্লেয়ার ইন্সটিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান নির্বাহী চেয়ারম্যান টনি ব্লেয়ার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাতকালে তাঁরা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যুক্তরাজ্যের অবদান, গণতন্ত্রের বিকাশ, চলমান উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ ২৩বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। ১৯৪৮ সালে ভাষার জন্য শুরু হয় প্রতিবাদ-আন্দোলন, আর ১৯৭১সালে মহান স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে তা শেষ হয়।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে শুরু হয় বাংলাদেশের কালো অধ্যায়। কালো আইন সংযোজনের মাধ্যমে ৩০লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে রচিত সংবিধানেরও কাঁটা-ছেঁড়া করা হয়। এরপরও সহযাত্রীর মনোভাব নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের বিকাশে কাজ করে যাচ্ছেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ১৯৭৩ সালে মহান জাতীয় সংসদ যাত্রা শুরু করে। এবছর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ গণতন্ত্র চর্চার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।
যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ় উল্লেখ করে স্পিকার এ সময় টনি ব্লেয়ার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন কমনওয়েলথ স্কলারশিপের অধীনে ইউনিভার্সিটি অফ এসেক্স হতে তাঁর পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনের স্মৃতিচারণ করেন।
বাংলাদেশকে যুক্তরাজ্যের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে টনি ব্লেয়ার বলেন, পপ সঙ্গীতের জনপ্রিয় ইংল্যান্ডের শিল্পী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে ১৯৭১ সালের ১আগস্ট ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’র আয়োজন করে, যা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশ্ব জনমত গঠনে ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখে।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মাসেতু বাস্তবায়নসহ উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন, নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনজীবন সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিবেচনায় ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ গ্রহণসহ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় যুক্তরাজ্যের অধিকতর সহযোগিতা কামনা করেন।
টনি ব্লেয়ার বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন । সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।