মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ঘানচু প্রদেশের ৩৪ বছরের পুরোনো একটি অ্যারাবিক স্কুল (মাদরাসা) বন্ধ করে দিচ্ছে সে দেশের সরকার। সরকারের এমন নির্দেশের ফলে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ঘানচু প্রদেশের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় আবারও ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।
পিংলিয়াং শহরটি চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ঘানচু ও শানজি প্রদেশের সীমান্তবর্তী একটি শহর। চীনের সবচেয়ে দরিদ্র এলাকার একটি এটি। এ প্রদেশে মুসলিমদের সংখ্যা বেশ সন্তোষজনক। সেখানকার ‘পিংলিয়াং অ্যারাবিক মাদরাসা’ নামের এ মাদরাসাটি স্থানীয় মানুষের স্বেচ্ছাদানের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়ে আসছিল এতদিন। কিন্তু সরকারি শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সম্প্রতি জানিয়েছে, আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এ স্কুল বন্ধ করে দেয়া হবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের যার যার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
মাদরাসাটি রক্ষা করার জন্য শিক্ষকরা ইতোমধ্যে এলাকার গণ্যমান্য ১,০০০ ব্যক্তির স্বাক্ষর সংগ্রহ করে শিক্ষা ব্যুরো বরাবর একটি পিটিশন পাঠিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা মাদরাসাটি রক্ষা করতে পারবেন কি-না, সে ব্যাপারে তেমন কোনো আশাবাদ ব্যক্ত করতে পারছেন না কেউই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাদরাসাশিক্ষক বলেন, ‘এখানে ইসলামি সংস্কৃতির সকল নিদর্শন মুছে ফেলার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে চীনা সরকার। স্থানীয় মুসলিমদের অনেকেই সড়কের নাম, পণ্য বা রেস্তোরাঁয় আরবি নাম ব্যবহার করতো। বিশেষত খাবারের প্যাকেট আরবি অক্ষরে ‘হালাল’ লেখা থাকতো। প্রশাসন এসব লিখতেও নিষেধ করেছে।’
নারীদের মাথায় হিজাব পরা কিংবা পুরুষদের বড় দাড়ি রাখাও নিষিদ্ধ এখানে। মোটকথা ইসলাম বা মুসলিম সংস্কৃতিকে ধারণ করে এমন সকল নিদর্শনই ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন করে ফেলছে প্রশাসন, যাতে করে ভবিষ্যত মুসলিম প্রজন্ম পূর্বপুরুষদের ইসলামি সংস্কৃতি ভুলে বড় হতে পারে ‘মহান চীনের!’ কম্যুনিস্ট সংস্কৃতির ছায়ায়। সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।