Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নরসিংদীতে সন্ত্রাসীদের কান্ড

স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

 ভয়ঙ্কর এক মাদক সন্ত্রাসী চক্রের কুনজরে পড়ে সম্মান ও সহায়-সম্পদ হারিয়ে এখন বাড়িঘর ছাড়ার উপক্রম হয়েছে অসহায় রফিক ও তার পরিবারের সদস্যদের। সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ব্যাপারে থানায় জিডি করায় মা, স্ত্রী ও ভাইসহ বাড়ির মালিক রফিককে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশ সুপারকে অবহিত করায় রফিক ও তার স্ত্রী ফাতেমাকে ঘর থেকে বের করে পিটিয়ে উলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ করেছে। থানায় মামলা করায় ৩০ জন ভাড়াটিয়াকে জোর পূর্বক বের করে দিয়ে বাড়ি দখলে নিয়েছে। বাড়াবাড়ি করলে নগ্ন ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। একজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও আটক করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ গিয়ে সাংবাদিককে উদ্ধার করতে হয়েছে। ঘটনাটি নরসিংদী শহর সংলগ্ন দাসপাড়া গ্রামের। আলামিন, চান মিয়া ও শরীফ গং নামে ভয়ঙ্কর অস্ত্রবাজ মাদক সন্ত্রাসী বাহিনীর এসব কার্যকলাপ। শিকার হচ্ছে একই গ্রামের মৃত হাসান আলীর পুত্র শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা। মামলা দায়েরের দুই মাস কেটে গেলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারছে না। উদ্ধার করতে পারছে না ভিডিওটি। এই অবস্থায় রফিক ও তার স্ত্রী ফাতেমাসহ পরিবারের সদস্যরা লজ্জা আর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এলাকার লোকজন তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, পিতা মরহুম হাসান আলী মৃত্যুর আগে ২৬ শতাংশ ভ‚মি তাদের নামে হেবা করে দিয়ে যান। এই জমিতে একটি টিনশেড নির্মাণ করে এতে ভাড়া দিয়ে তারা সংসার চালায়। তাদের বাড়িটিতে ৩০ ঘর ভাড়াটে ছিল। পক্ষান্তরে একই মহল্লার শামসুদ্দীনের পূত্র আল আমিন, আমিন উদ্দিনের পুত্র চান মিয়া, রতনের পুত্র শরীফ গং একটি ভয়ংকর সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ চক্র। এই চক্রটির সাথে রয়েছে শহরের একটি মাদকচক্রের সম্পর্ক। এই মাদকচক্রের ছত্রছায়ায় থেকে আলামিন প্রকাশ্যে এলাকা মাদক বিক্রি করে। কিন্তু মাদক চক্র সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না। এ ব্যাপারে নরসিংদী সদর মডেল থানায় ডায়েরি করায় আলামিন গঙ্গা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে দ্বিতীয় দফা মারধর করে। রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নরসিংদীর পুলিশ সুপারকে জানালে আসামি আল আমিন ও তার সতীর্থ সন্ত্রাসীরা রফিকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে রফিক ও তার স্ত্রী ফাতেমাকে মেরে ঘর থেকে বের করে উলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ করে।
এলাকার লোকজনের কাছে ঘটনা জানতে চাইলে খবর পেয়ে সন্ত্রাসী আলামিন বাহিনীর সদস্যরা সাংবাদিক ঘেরাও করে এবং তাকে মারধর করতে উদ্যত হয়। ঘটনাটি মডেল থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে উদ্ধার করে। পুলিশ এই সন্ত্রাসী বাহিনীর কোন সদস্য কে গ্রেফতার করতে পারছে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সন্ত্রাসী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ