নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে ‘এ’ গ্রুপ সেরা হয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে গেল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের একমাত্র ম্যাচে আরামবাগ ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড পল এমিলের হ্যাটট্রিকে ৩-১ গোলে হারায় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে। বিজয়ী দলের হয়ে পল তিন গোল করলে সাইফের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া একটি গোল শোধ দেন। ম্যাচে হারলেও গ্রæপ রানার্সআপ হয়ে শেষ আটে গেল সাইফ স্পোর্টিং। আর দু’ম্যাচে হেরে এই গ্রæপ থেকে বিদায় নিয়েছে টিম বিজেএমসি।
তিন দলের ‘এ’ গ্রæপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বিজেএমসিকে হারিয়ে আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছিলো আরামবাগ ও সাইফ স্পোর্টিং। তবে বাকি ছিলো গ্রæপ সেরা হওয়ার লড়াই। তা জিতে এগিয়ে থাকলো আরামবাগই। কাল ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাতœক ফুটবল খেলে আরামবাগ। সাইফও পাল্টা আক্রমণে যায়। তবে সফলতা পায় মতিঝিল ক্লাব পাড়ার দলটিই। ম্যাচে সাইফের চেয়ে অপেক্ষাকৃত ভালো খেলে আরামবাগই। ফলে গোলের সুযোগও বেশী পায় তারা। ৬ মিনিটে আরামবাগের ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড পল এমিল প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে বল পেয়ে যদি ঠিক মতো শট নিতে পারতেন তাহলে এগিয়ে যেতে পারতো বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তিন মিনিট পর সাইফের ডি-বক্সে বল পেয়ে শট নিতে ব্যর্থ হন আরামবাগের নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড চিনেডু ম্যাথিউ। ২৭ মিনিটে আরো একটি সুযোগ নষ্ট পল। এসময় পোস্ট লক্ষ্য করে শট নিলেও পলের শট গোলরক্ষক জিয়া পা দিয়ে ফিরিয়ে দেন। ৩৪ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে সাইফের কোরিয়ান ফরোয়ার্ড পার্কের পোস্ট লক্ষ্য করে নেয়া শটটি সরাসরি গ্রিপে নেন আরামবাগের গোলরক্ষক হিমেল। ৩৭ মিনিটে মারাজ হোসেনের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে সাইফ স্পোর্টিংয়ের প্রথম উল্লেখ করার মতো সুযোগটি নষ্ট হয়। পরের মিনিটে রাশিয়ার ফরোয়ার্ড ডেনিস বলশেকভের শটও একইভাবে উড়ে যায়।
প্রথমার্ধের অন্তিম মূহুর্তে (৪৫মিনিট) ডিফেন্ডার পারভেজ মিয়ার উচু লম্বা সেন্টারে বক্সে বল পান ক্যামেরুণের ফরোয়ার্ড পল এমিল। তাকে বাধা দিতে গিয়েও ব্যর্থ হন সাইফ ডিফেন্ডার রিয়াদুল হাসান রাফি। রাফিকে কাটিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে গোল করেন পল (১-০)। এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আরামবাগ। বিরতির পর ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া হয়েই লড়ে তারা। সফলও হয়। ম্যাচের ৬২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন পল এমিল। এসময় বাঁ প্রান্তের বক্সে পোস্টের খুব কাছে বল পেয়ে নিজেই গোলের জন্য শট নিতে পারতেন আরিফুর। কিন্তু সেটি না করে সতীর্থ পল এমিলের উদ্দেশ্যে তা বাড়িয়ে দেন তিনি। আর আরিফুরের কাছ থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের নিখুঁত শটে নিজের এবং দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন পল (২-০)। দু’গোল হজম করে এবার ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করে সাইফ স্পোর্টিং। মিনিট ছয়েক পর ম্যাচের ধারার বিপরীতে এক গোল শোধ করে তারা। ৬৮ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে আরিফুরের শট বক্সে হেড করে ক্লিয়ার করতে গিয়েও বলের নাগাল পাননি আরামবাগের এক ডিফেন্ডার। উল্টো বল পেয়ে যান সাইফ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। লাফিয়ে উঠে দারুণ এক শটে আরামবাগের জালে বল জড়ান তিনি (১-২)। ৮০ মিনিটে তৃতীয় গোলের দেখা পায় আরামবাগ। বাঁ প্রান্ত দিয়ে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ম্যাথিউ’র বাড়িয়ে দেয়া বল ধরে পল এমিলের দিকে ঠেলে দেন জসিম উদ্দিন সুজন। বল পেয়ে সাইফের বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ের চমৎকার শটে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন পল (৩-১)। ম্যাচের শেষ দিকে সাইফের বেশ ক’টি আক্রমণ প্রতিহত করেন আরামবাগের গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেল। ফলে কোনো বিপদ হয়নি বিজয়ীদের। শেষ পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আরামবাগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।