নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ডিসিপ্লিনারী কমিটির সিদ্ধান্তে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সদ্য সমাপ্ত ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আরামবাগ ও ঢাকা আবাহনীর মধ্যকার ম্যাচ শেষে মাঠে রেফারীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন আরামবাগের ম্যানেজার একেএম রাশেদুল হক সুমন এবং বলবয় রাকিব ও জুয়েল। এই ঘটনার জের ধরে বাফুফের ডিসিপ্লিনারী কমিটি বুধবার সন্ধ্যায় এক সভায় আরামবাগের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ডিসিপ্লিনারী কমিটি ক্লাবটির ম্যানেজার একেএম রাশেদুল হক সুমনকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা সহ ১ লাখ টাকা জরিমানা করে। সঙ্গে বলবয় রাকিব ও জুয়েল’কে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করে বাফুফের ডিসিপ্লিনারী কমিটি। যা আগামী একমাসের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
ডিসিপ্লিনারী কমিটির এমন সিদ্ধান্তে হতবাক আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের কর্তারা। তারা এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ইয়াকুব আলী গতকাল বলেন, ‘বলবয়দের নিষিদ্ধ করা হয়েছে ঠিক আছে। ম্যানেজারকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি জরিমানাও মেনে নেয়া যায়। কিন্তু ক্লাবকে জরিমানা করা অন্যায় হয়েছে বাফুফের। আমি বলবো আমাদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে। কারণ এখানে দোষী বলবয়রা। ক্লাবতো কোন অন্যায় করেনি। আমরা চিঠি পেয়েছি। আজ রাতেই (কাল রাতে) সভায় বসবো। বাফুফের এমন অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাবো।’
এদিকে ডিসিপ্লিনারী কমিটির ওই সভায় ঢাকা আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের চার খেলোয়াড়কে বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ করা সহ আর্থিক দন্ডও দেয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন দুই ক্লাবের কর্মকর্তারা।
বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘ফেডারেশন কাপের ফাইনালে যা ঘটেছে তা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। কোনভাবেই ফুটবলারদের কাছ থেকে এটা কাম্য ছিল না। এ জন্য অবশ্য বাফুফে দু’ক্লাবের ফুটবলারদের শাস্তি দিয়েছে। তবে আমার মনে হয় শাস্তির ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। কারণ হাতাহাতি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল আমাদের ফুটবলার সুশান্ত ত্রিপুরা। অথচ তাকে আট ম্যাচ নিষিদ্ধ ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অথচ ঢাকা আবাহনীর মামুন মিয়া দূর থেকে এসে ফ্লাইং কিক মারলেও তার শাস্তি হয়েছে কম। মাত্র ছয় ম্যাচ নিষিদ্ধ এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাকে। এখানেই পক্ষপাতিত্ব করেছে বাফুফে। আমার দলের ফুটবলাররা আবেদন করবে শাস্তি কমানোর জন্য।’ তিনি যোগ করেন, ‘এমনিতেই ইনজুরিতে রয়েছে আমাদের বেশ ক’জন ফুটবলার। তার উপর সুশান্ত ও সবুজের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে খুব সমস্যায় রয়েছি আমরা। তাছাড়া স্বাধীনতা কাপের ডেথ গ্রুপেও পড়েছি। ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে খেলা তিন দল (বসুন্ধরা কিংস, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল) একই গ্রুপে।’
অন্যদিকে চিঠি পাওয়ার পরই পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান আবাহনীর ফুটবল ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু। তিনি বলেন, ‘শাস্তির বিষয়ে এখনো আমরা বাফুফের চিঠি পাইনি। চিঠি হাতে পাওয়ার পর তা কোন ধারায় করা হয়েছে খতিয়ে দেখবো। আপীলের সুযোগ আছে কিনা সেটাও খুজবো। তারপরই সিদ্ধান্ত নেবো কি করা যায়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।