নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শুরুর দিকে বলেছিলেন, শিরোপা নয়, শীর্ষ চারে থাকাই আমাদের লক্ষ্য। কঠিন বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে বুঝেছেন সেটাও সহজ হবে না। কিছুদিন আগে তো বলেন, শীর্ষ চারে থাকাটাও সহজ হবে না। আর যাই হোক, হোসে মরিনহোর এই বাণী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ভক্তদের ভালো লাগার কথা নয়। প্রিমিয়ার লিগে রেড ডেভিলদের অবস্থান যে শীর্ষ চার থেকেও দ্বিগুন দূরত্বে!
মৌসুম শুরুর ধাক্কা সামলে ধারাবাহীকতায় ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল ইংলিশ জায়ান্টরা। এরপর আবারো ছন্দপতন। শেষ ১২ পয়েন্টের মধ্যে মরিনহো ঝুলিতে ভরতে পেরেছেন মাত্র ৩ পয়েন্ট। শীর্ষে থাকা নগর প্রতিদ্ব›দ্বীদের সঙ্গে তার দলের ব্যবধান ১৮ পয়েন্টের। অথচ লিগের মাঝপথ অতিক্রম করতে এখনো চার ম্যাচ বাকি!
পরশু ঘরের মাঠে ছিল মরিনহোর অগ্নিপরীক্ষা। আর্সেনালের বিপক্ষে দুইবার পিছিয়ে পড়েও ম্যাচটি যে তাকে হারতে হয়নি তাতেই রক্ষা। একই রাতে এগিয়ে গিয়েও উলভারাম্পটনের কাছে হারতে হয়েছে চেলসিকে। তবে পিছিয়ে পড়েও দারুণ জয় ছিনিয়ে নিয়ে শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির ঘাড়ে নিঃশ্বাস অব্যহত রেখেছে লিভারপুল।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে স্কোরলাইন ২-২ ড্রয়ের কথা বললেও লুকাকু-পগবাবিহীন ইউনাইটেডকে পুরো ম্যাচেই ধুঁকতে হয়েছে। ২৬তম মিনিটে প্রথম যে গোলটি তারা খায় তাতে ছিল গোলরক্ষক ডেভিড ডি হেয়ার অমার্জনীয় ভুল। মুস্তাফির হেড তার হাত গলে ভেতরে ঢোকার সময় ক্লিয়ার করেন আনদের হেরেইরা। কিন্তু ততক্ষণে বল ক্রসলাইন অতিক্রম করেছে। চার মিনিট পর ফ্রিকিক থেকে দারুণ আক্রমণে মার্শিয়ালের গোলে সমতায় ফেরে ম্যান ইউ। ৬৮তম মিনিটে মার্কোস রোহোর গোলে আবার পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। কিন্তু পরের মিনিটেই দলকে সমতায় ফেরান লিঙ্গার্ড।
ম্যাচ শেষে মরিনহো বলেন, ‘যেহেতু আমরা বার বার ভুল করছি, সেতেতু এর খেসারতও দিতে হচ্ছে। আজকের (পরশু) ভুল ছিল অন্যদিনের চেয়ে বেশি। এরপরও সবাই দারুণ গতিতে এগিয়ে যেতে এবং লড়াইয়ে ফিরতে প্রস্তুত।’ আর উনাই এমিরির জন্যে এক পয়েন্টও মন্দ না। সব প্রতিযোগিতা মিলে ২০ ম্যাচ অপরাজিত তার আর্সেনাল। ম্যাচের আধিপত্য ধরে রেখে প্রথমার্ধের চেয়ে দ্বিতীয়ার্ধে তার দল ভালো খেলেছে দাবি করে সাবেক পিএসজি কোচ বলেন, ‘আমাদের রক্ষণে উন্নতি করতে হবে, তবে সেটা ভারসম্য বজায় রেখে ও আক্রমণের ধার না কমিয়ে।’
উলবসের বিপক্ষে চেলসির ২-১ গোলের হারটা ছিল অপ্রত্যাশিত। বিশেষ করে লফটাচ-চেকের গোলে ম্যাচের ১৮ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার পর। ৭ ম্যাচ পর উলভস যে জয়টি পেল সেটাও শীর্ষ চারের দলের বিপক্ষে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে চার মিনিটের ব্যবধানে গোল দুটি করে স্বাগতিকরা। পুরো ম্যাচে চেলসির পোস্টে তাদের শটই ছিল এই দুটি! আর্সেনাল ও চেলসি পয়েন্ট হারানোয় তিনে উঠে গেছে টটেনহ্যাম। হ্যারি কেউন, লুকাস মৌরা ও সন হিউন-মিনের গোলে এদিন সাউদাম্পটনকে ৩-১ গোলে হারায় স্পার্সরা। বার্নলির মাঠে লিভারপুলের জয়টিও ছিল একই ব্যবধানের। চারটি গোলই আসে দ্বিতীয়ার্ধে। ৫৪তম মিনিটে পিছিয়ে যাওয়ার পর চৈতন্য ফেরে ক্লপের দলের। অল রেডদের হয়ে গোল তিনটি করেন মিলনার, ফিরমিনো ও শাকিরি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।