যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
শীতকাল এসেছে। এ সময় বাজার ভরে উঠেছে নানা রকম শাক-সব্জিতে। তার একটি হচ্ছে পালং শাক। এই পালং শাক কিন্তু আমাদের দেশের নয়, এর জন্ম হয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যে। জানা যায়, হাজার বছর আগে থেকেই তা চাষ করা হতো ইরানে। দেড় হাজার বছর আগে পালং শাক পৌঁছে চীনে।
চীনে পৌঁছার কয়েকশো বছর পরে ইউরোপে। পালং শাক নানাগুণে সমৃদ্ধ, তাই একে এক রকম ‘সুপার ফুড’ বলা যায়। কী নেই এ শাকে? মিনারেল, ভিটামিন, ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস থেকে শুরু করে পিগমেন্টস পর্যন্ত সবই রয়েছে এতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পালং শাকের গুণের শেষ নেই। মানুষের জন্য বড় উপকারী এ শাক। কী উপকার করে এ শাক- আসুন জেনে নিই।
দৃষ্টিশক্তি : পালং শাকে আছে বিটা ক্যারোটিন, লিউটেনিন এবং জ্যানথিন। ভিটামিন ‘এ’ এর ডেফিসিয়েন্সি কমায় পালং শাক। চোখের শুষ্কতা দূর করতে, চোখের আলসার সারাতে কাজ করে। চোখের ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে।
বøাড প্রেশার : বøাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত কার্যকর ভ‚মিকা নেয় পালং শাক। উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম এবং খুব সামান্য পরিমাণ সোডিয়াম আছে পালং শাকে। এছাড়াও এ শাকে থাকা ফোলেট হাইপারটেনশন কমায় ও রক্ত জালিকাকে রিল্যাক্স করে।
ক্যানসার প্রতিরোধী : পালং শাকে উপস্থিত টোকোফেরল, ফোলেট ও ক্লোরোফাইলিন ক্যানসার প্রতিরোধে ও রোগীর চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকর। বøাডার, প্রস্টেট, লিভার ও ফুসফুসের ক্যানসারের প্রতিরোধে ও চিকিৎসায় পালং এর ভ‚মিকা প্রমাণিত।
ত্বকের সুরক্ষা : বিভিন্ন ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ও পিগমেন্টের উপস্থিতি ত্বককে ক্ষতিকর ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষা দেয়। তা ত্বকের ক্যানসারের প্রতিরোধ হিসেবেও কাজ করে।
মেটাবলিজম বাড়ায় : পালং শাকে থাকা বিভিন্ন ভিটামিনকে খুব সহজেই এনজাইম ভেঙে দিয়ে তৈরি করে অ্যামাইনো অ্যাসিড যা আমাদের বিভিন্ন ক্ষত নিরাময়, পেশির বৃদ্ধিতে সহায়তা ও সার্বিক মেটাবলিজম বাড়িয়ে তোলে।
ডায়াবিটিস : পালং শাকে থাকা আলফা লিপোয়িক অ্যাসিড নামের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তে গøুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে ও শরীরে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায়।
অ্যাজমা প্রতিরোধ : পালং শাকে এমন কিছু পুষ্টিকর পদার্থ আছে যা অ্যাজমা প্রতিরোধে সাহায্য করে। তার মধ্যে একটি হলো বিটা ক্যারোটিন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর : ফাইবার এবং প্রচুর পরিমাণে পানি আছে পালং শাকে। ফলে পালং শাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এবং ডাইজেস্টিভ ট্র্যাককে সুস্থ রাখে।
হাড়ের স্বাস্থ্য : পালং শাকে বিপুল পরিমাণে ভিটামিন ‘কে’ থাকে। শরীরের শক্ত হাড়ের গঠনে ভিটামিন ‘কে’ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ‘কে’ আমাদের খাদ্য তালিকায় থাকলে তা ক্যালসিয়াম সংগ্রহে সাহায্য করে এবং মূত্রের মাধ্যমে ক্যালশিয়ামের অতিরিক্ত নিঃসরণ আটকায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।