নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ বছর রাজত্ব করেছে স্পিনারাই। সুনিল জোসির যেখানে উঠেছে নাভিশ্বাস, ঠিক তার উল্টো চিত্র কোর্টনি ওয়ালশের বেলায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে একপ্রকার শুয়ে-বসেই কেটেছে ক্যারিবীয় কিংবদন্তির! মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশ দলে কোনো পেসার খেলেননি, তার কী-ই-বা করার আছে। তবে ওয়ানডে সিরিজের আগে বাংলাদেশ পেস বোলিং কোচের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। হোম কন্ডিশন ও উইকেট কাজে লাগাতে টেস্টে বাংলাদেশের পেসাররা উপেক্ষিত থাকলেও ওয়ানডেতে বিপরীত চিত্র। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দলে পেসারই আছেন চারজন। সঙ্গে খÐকালীন দুজন। আগামী রোববার মিরপুরে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে খেলছেন কমপক্ষে তিনজন পেসার। সেই পেসারেরই একজন রুবেল হোসেন।
ঘরের মাঠে উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানেই জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। আর তা এসেছে দলের স্পিনারদের হাত ধরে। এবার মিশন ওয়ানডে। আর সেখানে স্পিনারদের চেয়ে পেসারদের ভূমিকাই থাকবে বেশি। এমনটাই মনে করেন বাংলাদেশের অন্যতম এই সেরা পেসার ‘ওয়ানডে জিতিয়েছেও পেস বোলাররা, আপনি যদি দেখেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও। এই কন্ডিশনেও অবশ্যই জিতাতে পারবে, ওয়ানডেতে উইকেট স্পিন সহায়ক থাকবে না, যেভাবে টেস্টে ছিল। আর আমাদের যেই পেস বোলাররা আছে, এই কন্ডিশনে অবশ্যই ম্যাচ জেতাতে পারবো।’
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে উইন্ডিজের ৪০টি উইকেটই পেয়েছেন স্পিনাররা। দ্বিতীয় টেস্টে তো দলে বিশেষজ্ঞ পেসারই ছিল না। তবে ওয়ানডেতে ভিন্ন ধরণের উইকেট থাকবে বলেই পেসাররা জলে উঠবেন বলে আশা করছেন রুবেল, ‘আমাদের উইকেটটা ওইভাবে তৈরি করা ছিল, স্পিনারদের পক্ষেই। আমার কাছে মনে হয় ওয়ানডেতে এমন হবে না, ওয়ানডেতে একটু আলাদা হবে। উইকেটে ওইভাবে স্পিন থাকবে না। আমার কাছে মনে হয় না ওরকম হবে।’
সা¤প্রতিক সময়টা বেশ ভালোই কাটছে রুবেলের। চলতি বছরে ১৩টি ওয়ানডে ম্যাচে ১১ ইনিংসে বোলিং করে পেয়েছেন ১৯টি উইকেট। আর তাই নিজেও উইন্ডিজের বিপক্ষে ভালো কিছু করবেন বলে আশাবাদী রুবেল, ‘শেষ দুই তিনটা সিরিজ আমি খুব ভালো ছন্দে আছি। আমি যদি সুযোগ পাই আমি আমার সেরা ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করবো, যেটা সবসময় করি।’
কয়েক মাস আগে উইন্ডিজ সফর করে এসেছে বাংলাদেশ। সেখানে টেস্ট সিরিজে নাকাল হলেও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে টাইগাররা। এবার আরও ভালো কিছু প্রত্যয় ঝরে রুবেলের কণ্ঠে, ‘আমরা অবশ্যই সিরিজ জেতার জন্য মাঠে নামবো। আমাদের প্রতিটা খেলোয়াড় খুব আত্মবিশ্বাসী আছে। ভালো একটা টেস্ট সিরিজ আমরা জিতেছি, এটা আমাদের খেলোয়াড়দের অনেক আত্মবিশ্বাস দিবে।’
ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টিতে যেভাবে সাফল্য পান, টেস্টে তার সিকিভাগও নেই। মূলত টেস্টে মনযোগী নন বলেই সাফল্য পান না, এমন গুঞ্জনই ক্রিকেট পাড়ায় চাউর। কিন্তু রুবেল উড়িয়ে দিলেন সব অভিযোগই। ক্রিকেটই তার সমস্ত আয়ের উৎস বলে এখানে প্রতারণা করার কোন জায়গা নেই বলেই জানালেন এ পেসার, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ ধরনের কথা কারা বের করছে জানি না। আমি টেস্ট খেলতে চাইব না কিসের জন্য। এই ক্রিকেটই আমার রুটি রুজি। এটার ওপরেই আমি চলি। আমার পরিবার চলে। তাই না, এটার সাথে তো আমার চিটিং করার কিছু নেই। আমি জানি না এটা কারা বের করছে, কিন্তু আমি কখনই বলি নাই আমি টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাই না।’
আর তিনি যে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে অপছন্দ করেন না তা যুক্তি দিয়েই জানালেন, ‘এধরনের কিছু না। আমি বিসিএলে বোলিং করছি না? ম্যাচ খেলছি তো, আমি টেস্ট যদি উপভোগই না করতাম তাহলে আমি এটাকে এড়ায়ে চলে যেতাম। আমি এটার সাথে কখনই চিটিং করি না।’
এখন পর্যন্ত ২৬টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন রুবেল। সেখানে উইকেট পেয়েছেন মাত্র ৩৩টি। গড় ৮০.৩৩। সেখানে ৯৩টি ওয়ানডে খেলে ৩২.৫১ গড়ে উইকেট পেয়েছেন ১১৮টি। আর ২৭টি টি-টোয়েন্টিতে ২৮ উইকেট। সবচেয়ে বড় কথা সাদা বলের তুলনায় লাল বলে তার গতি অনেকটাই কমে আসে। যেখানে লাল বলেই গতি বেশি থাকার কথা। মূলত এসব কারণেই ধারণা করা হয় টেস্টের প্রতি ততোটা মনযোগী নন রুবেল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।