Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হত্যাকারীদের ফেরত দিতে ফের আহ্বান

খাসোগি ইস্যুতে সউদী রাজপরিবারের ক্ষতি চান না এরদোগান

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকারীদের তুরস্কে ফেরত পাঠাতে সউদী আরবের কাছে পুনরায় দাবি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। তবে একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, এই ইস্যুতে সউদী আরবের রাজপরিবারের কোনও ক্ষতি করার ইচ্ছা নেই। শনিবার আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে এই দাবির কথা তুলে ধরেন তিনি। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এখবর জানিয়েছে। এরদোগান বলেন, আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের যে কোনও প্রশ্ন তোলা ঠেকাতে হত্যাকারীদের তুরস্কে বিচার করা আবশ্যক। যারাই এই নৃশংস অপরাধের নির্দেশ দাতা ও বাস্তবায়ন করেছে তাদের পরিচয় প্রকাশ হওয়া প্রয়োজন। যদি মূল হোতাদের বের করা না যায় তাহলে পুরো ইসলামি বিশ্ব সন্তুষ্ট হবে না। তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানান, খাশোগির দেহাবশেষ সম্পর্কে তথ্য দিয়ে তুরস্কের প্রসিকিউটরদের সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে সউদী কর্তৃপক্ষ। সউদী হত্যাকারী দলের স্থানীয় সহযোগিতাকারীদের পরিচয়ও প্রকাশ করছে না কর্তৃপক্ষ। খাশোগির হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে তিনি সউদী আরবের রাজপরিবারের কোনও ক্ষতি করতে চান না। কিন্তু তিনি সম্মেলনে সউদী আরবের প্রভাবশালী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সমালোচনা করেছেন। সম্মেলনে খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সউদী যুবরাজের ব্যাখ্যাকে বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করেছেন। সম্মেলনে সউদী যুবরাজ বলেছেন, ‘প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত আপনারা সউদী আরবকে দায়ী করতে পারেন না।’ এরদোগান বলেন, অবশ্যই আইনগত দিক দিয়ে এটা বৈধ। কিন্তু তার নিজের কর্মকর্তাই স্বীকার করেছেন এটা ছিল পরিকল্পিত অভিযান। তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানান, সম্মেলনে একমাত্র কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো খাশোগি হত্যার বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। তিনি নিজেও বিষয়টি তুলেননি। তবে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁ ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে জানিয়েছেন, যুবরাজের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে তারা খাশোগি হত্যার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সউদী কনস্যুলেটে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। খুনের নির্দেশদাতা হিসেবে আঙ্গুল উঠে খোদ সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে। সউদী আরবের পক্ষ থেকে প্রথমে এ হত্যাকাণ্ডের খবর অস্বীকার করা হয়। পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্বীকার করলেও এর সঙ্গে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সম্পৃক্ততার খবর অস্বীকার করা হয়। ওই ঘটনায় দুনিয়াজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েন এমবিএস নামে পরিচিত সউদী যুবরাজ। এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এরদোগান


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ