Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মালদ্বীপে কোনো বিদেশি সামরিক ঘাঁটি হবে না

ভারতীয় সৈন্য মোতায়েনের বিনিময়ে ১শ’ কোটি ডলার ঋণ প্রস্তাবের কথা অস্বীকার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

মালদ্বীপ বলেছে, কোনো বিদেশী সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠার জন্য মালদ্বীপের ভ‚খন্ড ব্যবহৃত হবে না। মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ শহিদ এ কথা বলেন। তিনি মালদ্বীপে ভারতীয় সৈন্য মোতায়েন করতে দেয়ার বিনিময়ে ভারত দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ১শ’ কোটি ডলার দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর জোরের সাথে অস্বীকার করেন। খবর এনডিটিভি।
শহিদ টুইটারে অর্থ সাহায্য বা অন্য কোনো ধরনের সাহায্যের বিনিময়ে মালদ্বীপ সরকার তাদের ভ‚খন্ডে ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি দেয়ার পরিকল্পনা করছে বলে সংবাদ মাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এটা ভিত্তিহীন এবং মালদ্বীপ যখন তার প্রতিবেশী দেশগুলো ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে ভালো সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে শুরু করেছে সে সময় সরকারকে বিপাকে ফেলতে এসব খবর প্রচার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা জনগণকে আশ^স্ত করছি যে, সরকার সব সময় জাতীয় স্বার্থে কাজ করবে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার সাথে আপস করে কোনো প্রকার আন্তর্জাতিক চুক্তি করবে না।
একটি জাপানি দৈনিক নিক্কি এশিয়ান রিভিউ -এ প্রকাশিত একটি সংবাদ নিবন্ধে বলা হয় যে, ভারত সামরিক সম্পর্ক জোরদার করার বিনিময়ে মালদ্বীপকে ১শ’ কোটি ডলার দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এ খবরের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন শহিদ।
আবদুল্লাহ শহিদ সম্প্রতি সরকারিভাবে ভারত সফর করেন। সে সময় তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সাথে বৈঠক করেন। তিনি ভারতকে পরীক্ষিত ও বিশ^াসী বন্ধু বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করেন। তিনি চীনকেও বন্ধু বলে আখ্যায়িত করে বলেন, বিশে^র অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির এ দেশটির অর্থ সাহায্যে মালদ্বীপ উপকৃত হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মালদ্বীপ

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ