২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
ঘাড় ব্যথায় ভোগেননি এমন মানুষ খুজে পাওয়া দুস্কর। ঘাড় ব্যথার নানা কারনগুলোর মধ্যে স্পন্ডাইলোসিস বা ঘাড়ের হাড় ক্ষয় অন্যতম। নারী পুরুষ যে কারো ঘাড় ব্যথা হতে পারে। তবে যারা ডেস্কে বসে কাজ করেন, যেমন- ব্যাংকার, কম্পিউটার ব্যবহার বেশি করেন এমন ব্যাক্তি। তাছাড়াও যারা ঘরের কাজ যেমন- কাপড় ধোয়া, ঘর মোছা বা রান্না করার মত কাজ করেন তারাও ঘাড় ব্যথায় আক্রান্ত হন। তবে আশার কথা হলো ঘাড় ব্যথায় আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ হবার হার কোমর, হাটু বা অন্যান্য শারীরিক ব্যথাক্রান্ত রোগীদের চেয়ে অনেক বেশি।
স্পন্ডাইলোসিসের লক্ষনঃ ব্যথা ঘাড় থেকে হাতে চলে যায়। অনেকের হাতে ঝি ঝি ধরে। পিঠে বুকে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ডানে-বামে বা সামনে পেছনে ঝোকাতে কষ্ট হয়। অনেকে উপরের দিকে তাকাতে পারেননা। অনেক রোগীই বলে থাকেন তাদের কোন কোন আঙ্গুল অবশ লাগছে বা ঠিক বোধ পাচ্ছেননা। সকালে ঘুম থেকে উঠে অনুভব করেন তার একটি হাত ঝি ঝি লেগে আছে অথবা ঝি ঝি লাগার কারনে মধ্যরাতে ঘুম ভেঙ্গে গেছে। এইসব সাধারন (কমন) উপসর্গ ছাড়াও অনেক রোগীই মাথা ঘোরা মাথা ব্যথা বা বুকে ব্যথার কথা অভিযোগ করে থাকেন। এমনও রোগী আছে যারা বুক ব্যথার সঠিক কারন নির্ণয় করতে না পেরে নিজেকে হৃদরোগী ভাবেন। অথচ অনেক ক্ষেত্রেই সামান্য একটি এক্স্-রে করে দেখা যায় তিনি ঘাড়ের হাড় ক্ষয় রোগে ভুগছেন। একইভাবে মাসের পর মাস মাথা ঘোরা রোগের ঔষধ খেয়ে উপকার না পেয়ে পরে স্পন্ডাইলোসিস সনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তাই রোগ নির্নয়ের ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া জরুরী।
চিকিৎসাঃ স্পন্ডাইলোসিসের সবচেয়ে কার্যকরি চিকিৎসা আইপিএম। কারন নির্নয় হওয়া মাত্রই চিকিৎসা শুরু করতে হবে। ব্যথা বা অন্যান্য উপসর্গ সম্পূর্ন ভালো হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আইপিএম চালিয়ে যেতে হবে। নিয়ম মেনে চলাও চিকিৎসায় সমান গুরুত্বপূর্ন। সামনে ঝুকে কাজ না করা, পাতলা বালিশে ঘুমানো, সমান বিছানা ব্যবহার স্পন্ডাইলোসিস রোগীদের কস্ট দ্রæত দূর করবে। ডায়াবেটিস, গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং কিডনী রোগে আক্রান্তরা ব্যথানাশক ঔষধ সেবন থেকে বিরত থাকুন।
জটিলতাঃ ফ্রোজেন সোল্ডার স্পন্ডাইলোসিসের অন্যতম প্রধান জটিলতা। তাছাড়া রোগ জটিল আকার ধারন করলে হাত শুকিয়ে যাওয়া বা আঙ্গুল অবশ হয়ে যাওয়াওর মত ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দ্রæত সারভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিসের চিকিৎসা নিন।
চীফ কনসালট্যান্ট
হাসনা হেনা পেইন এন্ড ফিজিওথেরাপি রিসার্চ সেন্টার
বাড়ি-৭, শায়েস্তাখান রোড, সেক্টর-৪, উত্তরা, ঢাকা।
মোবাইল :- ০১৮৭২ ৫৫৫ ৪৪৪।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।