২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
কোমর ব্যথা সারা বিশ্বের ন্যায় আমাদের দেশেও খুব পরিচিত। অনেকেই এই সমস্যায় কষ্ট পাচ্ছেন। বিভিন্ন কারণে এমনটা হতে পারে। সবসময় যে জটিল কারণে হয় তাও নয়। তবে কিছু কারণ খুবই জটিল, যেখাবে সার্জারিও লাগতে পারে।
কোমর ব্যথার বিভিন্ন কারণ আছে। এর মধ্যে আছে :
১। আর্থ্রাইটিস। ২। পেশি, হাড়, লিগামেন্ট, ডিস্ক ও স্নায়ুর রোগ। ৩। স্পনডিলাইটিস। ৪। স্পনডাইলোসিস। ৫। বুক, পেট ও তল পেটের বিভিন্ন অঙ্গের সমস্যার জন্য কোমর ব্যথা হয়। ৬। হারনিয়াটেড ডিস্ক নার্ভকে ইরিটেশন করে। এর ফলেও কোমর ব্যথা হয়। ৭। সঠিকভাবে না শুলে বা বিছানায় সমস্যা থাকলে। ৮। দীর্ঘক্ষণ বসার ভঙ্গিমা ঠিকমত না হলে বা চেয়ার ঠিক না থাকলে। ৯। ড্রাইভিং করার সময় সঠিকভাবে না বসলে। ১০। স্পাইনাল ক্যানাল সরু হওয়া। ১১। হাড়ের ইনফেকশন। ১২। হাড় ও তরুণাস্থির প্রদাহ। ১৩। হাড়ের ক্ষয়। ১৪। ফাইব্রোমায়ালজিয়া। ১৫। হাড় ও স্নায়ুর টিউমার। ১৬। দুশ্চিন্তা ইত্যাদি
কোমর ব্যথা হলে ব্যথার ওষুধ দীর্ঘদিন না খেয়ে আগে কারণ বের করা দরকার। আমাদের দেশে অনেকেই এরকমটা করে থাকেন। এর ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসা প্রদানের পূর্বে অবশ্যই কারণ নির্ণয় করতে হবে। প্রয়োজনীয় ইতিহাস, শারীরিক পরীক্ষা ও ল্যাবরেটরি পরীক্ষা করতে হবে। রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা, প্রস্রাব পরীক্ষা, এক্সরে, আলট্রাসনোগ্রাফি এমআরআই করতে হতে পারে। সঠিক কারন না জেনে ওষুধ খেলে বড় বিপদ হতে পারে।
তাই চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেতে হবে। ফিজিওথেরাপি নিতে হতে পারে। কার জন্য কি চিকিৎসা লাগবে তা একজন চিকিৎসকই ঠিক করবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে আপনি পূর্ণ সুস্থতা ফিরে পেতে পারেন।
ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।