নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পরশু বিকেলে হঠাৎ এক আগন্তক আশা জোগচ্ছিল শ্রীলঙ্কাকে। কিন্তু কলম্বোয় গতকাল ‘বৃষ্টি’ নামক সেই আগন্তকের কোন নামগন্ধ পাওয়া যায়নি। হোয়াইটওয়াশের হাত থেকেও বাঁচতে পারেনি লঙ্কানরা। কলোম্বো টেস্টে স্বাগতিকদের ৪২ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০তে জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড।
সফরকারী দল হিসেবে সবশেষ কবে সবকটি টেস্ট জিতেছিল ইংল্যান্ড? এজন্য ফিরে যেতে হবে অনেক পিছনে, ১৯৬৩ সালে। শ্রীলঙ্কায় প্রথমবার তো বটেই এশিয়াতেই দুই টেস্টের বেশি ম্যাচের সিরিজে এই প্রথম প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করল ইংল্যান্ড। শ্রীলঙ্কাও এ নিয়ে তিনবার ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো। শুরুটা ছিল ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে, গত বছর লঙ্কানদের একই তিক্ততা উপহার দেয় ভারত।
সিরিজ শুরুর আগে এগিয়ে রাখা হয়েছিল লঙ্কানদেরই। কিন্তু বিশ্লেষকদের বিশ্লেষন উল্টে ২২১ রানের বিশাল হার দিয়ে সিরিজ শুরু করে স্বাগতিকরা। গলের সেই ম্যাচটি ছিল টেস্ট ইতিহাসের সফলতম বাঁ-হাতি স্পিনার রঙ্গনা হেরাথের বিদায়ী ম্যাচ। এরপর ক্যান্ডি টেস্টে ৫৭ রানে হেরে সিরিজ হার নিশ্চিত হয় সুরেঙ্গা লাকমালের দলের। শেষ ম্যাচে পরাজয়ের ব্যবধানটা আরো ছোট মনে হলেও জয়ের আবহে কোন সময়ই ছিল না শ্রীলঙ্কা।
৩২৭ রানের লক্ষ্যে তৃতীয় দিন বিকেলে ৫৩ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টির কারণে এদিন ম্যাচ আগেভাগেই শেষ হয়। শেষ দুই দিনে করতে হত আরো ২৭৪ রান। স্পিন স্বর্গে হাতে ছয় উইকেট পুঁজি নিয়ে যে কাজ বলতে গেলে অসাধ্য। এজন্য বৃষ্টিকে আশীর্বাদ হিসেবে কামনা করেছিল লঙ্কানরা। কিন্তু তা না হওয়ায় চা বিরতির পরপরই শেষ হয় লাকমাল বাহিনীর হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াই।
প্রতিরোধ যে একেবারেই আসেনি তা নয়। ষষ্ঠ উইকেটে ১০২ রানের জুটি গড়েন রোশান সিলভা ও কুসল মেন্ডিস। কুসল রান আউট হওয়ার পর ডিকভেলা কিছুক্ষণ সঙ্গ দেন সিলভাকে। ২২৬ রানে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে রোশান ফেরার পর ইংল্যান্ডের বিজয়োল্লাসের অপেক্ষা বাড়িয়ে দেন ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান মালিন্দা পুস্পকুমারা। শেষ উইকেটে অধিনায়কের সঙ্গে ৫৮ রানের জুটির পথে ৪০ বলে ৪২ রান করেন পুস্পকুমারা। লড়াইটা শেষ হয় ২৮৪ রানে। ইংলিশদের ভালো বোলিং তো ছিলই, ফিল্ডংটাও ছিল দুর্দান্ত। চারটি করে উইকেট ভাগ করে নেন দুই স্পিনার মঈন আলি ও আদিল রশিদ।
সিরিজটা ইতিহাস মনে রাখবে আরো একটি কারণে। এই প্রথম তিন ম্যাচের কোন সিরিজে ১০০ উইকেট নিলেন স্পিনাররা। ২২ উইকেট নিয়েছেন দিলরুয়ান পেরেরা। ১৮টি করে মঈন ও রশিদ। সিরিজটা ভুলবেন না বেন ফোকসও। অভিষেক সিরিজেই সেরা খেলোয়াড়ের (২২৭ রান) তকমা লাগলে কি ভুলা যায়।
সংক্ষিপ্তস্কোর
ইংল্যান্ড : ৩৩৬ (বেয়ারস্টো ১১০, স্টোকস ৫৭, সান্দাকান ৫/৯৫) ও ২৩০ (বাটলার ৬৪, দিলরুয়ান ৫/৮৮)।
শ্রীলঙ্কা : ২৪০ (করুনারতে্ন ৮৩, ডি সিলভা ৭৩, রশিদ ৫/৪৯) ও ২৮৪ মেন্ডিস ৮৬, রোশান ৬৫, পুষ্পকুমারা ৪২, লেঞ্চ ৪/৭২, মঈন ৪/৯২)। ফল : ইংল্যান্ড ৪২ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা : জনি বেয়ারস্টো। সিরিজ : ইংল্যান্ড ৩-০তে জয়ী। সিরিজ সেরা : বেন ফোকস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।