পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
দীর্ঘদিন বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর নজিরবিহীন নির্যাতনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সম্ভবত ধারণা হয়েছিল, বিএনপি শেষ হয়ে গেছে। নির্বাচন করতে পারবে না। ফলে ২০১৪ সালের মতো আবারও একতরফা নির্বাচন হবে এবং তাতে সরকারি দল জয়ী হবে। তাই দলীয় নেতাদের মধ্যে উল্লসিতভাবও দেখা দিয়েছিল। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্তের কারণে তারা চরম প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে। বিএনপির পরপর কয়েকটি জনসভায় এবং মনোনয়ন ফরম বিক্রয়কালে জনস্রোত দেখে তাদের মধ্যে পরাজয়ের আতঙ্কও সৃষ্টি হয়েছে। আর পরাজিত হলে কী হবে, তা তারা প্রকাশও করছে। এমতাবস্থায় ক্ষমতায় ফের আসার জন্য তারা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। ফলে রাজনীতিতে উত্তাপ ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা আরও বাড়বে, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসবে। এতে নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি দেখা দিয়েছে। অপরদিকে, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ইসি। কারণ, সংসদ ও দলীয় সরকার বহাল থাকায় ইসির পক্ষে নিরপেক্ষ ও বলিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করা কঠিন। ইসি স্বাধীন হলেও নির্বাচন পরিচালনার মতো প্রয়োজনীয় নিজস্ব লোক তার নেই। সরকারি লোক দিয়েই নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। কিন্তু ইসি যতই কঠোর নির্দেশ জারি করুক, সরকারি লোকরা তা পালনের চেয়ে সরকারের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নেই গুরুত্ব দেবে বেশি। দ্বিতীয়ত, গত দশ বছরে দেশের সর্বত্রই দলীয়করণের রেকর্ড ভঙ্গ হয়েছে। তাই সুযোগ পেলেই প্রশাসনের লোকরা কী করবে তা সহজেই অনুমেয়। ইতোমধ্যেই পুলিশ ইসির অনুমতি ছাড়াই ভোট-গ্রহণ কর্মকর্তাদের খোঁজ-খবর নিয়েছে এবং বিএনপির নেতা-কর্মীদের আটক অব্যাহত রেখেছে। তারেক রহমান স্কাইপের মাধ্যমে বিএনপির মনোয়ন প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণে আচরণবিধি লংঘন হয়নি বলে ইসির মন্তব্য করার পরও বিএনপি অফিসের ইন্টারনেট ও স্কাইপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওদিকে ইসির নিরপেক্ষতা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। কারণ, ইসি এ পর্যন্ত শুধুমাত্র সরকার ও তার মিত্রদের দাবিই মেনে নিয়েছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একটি দাবিও মানেনি। নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার পরও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। সরকারের সাজানো প্রশাসনও রদ-বদল হয়নি। তা ঢালাওভাবে হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে ইসি। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতি পরিবর্তন করে বলা হয়েছে, তারা কোনো মিডিয়ার সাথে বিরূপমন্তব্য বা কথা বলতে পারবেন না, ছবি তুলতে পারবেন না, গোপন কক্ষে যেতে পারবেন না ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। তারা শুধু মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকবেন। এর আগে বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক মিডিয়া কেন্দ্রের খবর সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া, নির্বাচন শতভাগ নিরপেক্ষভাবে করা সম্ভব নয় এমন কথাও বলেছেন ইসির কেউ কেউ। এসব নানা কারণে ইসি বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। ইসি সর্বাধিক বিতর্কিত হয়েছে ইভিএম নিয়ে। কারণ, সরকার ছাড়া সব দল এর বিপক্ষে। কারণ, দেশের প্রায় সব মানুষ এই মেশিনের ব্যাপারে কিছুই জানে না ও বোঝে না। উপরন্তু ইভিএম পরিচালনার জন্য দক্ষ লোকও তেমন নেই দেশে। তাই আর্মিকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু ভোট গ্রহণের সময়ে এটা নিয়ে যদি কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয় কিংবা বিদ্যুৎ চলে যায়, তখন ভোট গ্রহণ হবে কীভাবে? উপরন্তু কারসাজি করার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া, এটা খুবই ব্যয়বহুল ও বাজেটভুক্ত নয়। সর্বোপরি যেসব দেশ এটা দীর্ঘদিন যাবত ব্যবহার করে আসছে, তারা এটা বাতিল করে দিচ্ছে নানা নেতিবাচক করণে। এমনকি ভারতেও এটা বাতিল করার দাবি উঠেছে। তবুও ইসি জোর করে ইভিএম চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই এই ব্যাপারে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তাদের ধারণা ইভিএম’র মাধ্যমে কারসাজি করে সরকারি দলকে জয়ী করানো হবে। তাই সরকার ও তার অনুগত ইসির আগ্রহ বেশি। অপরদিকে, এ নির্বাচন নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বেড়ে যেতে পারে বলে পুলিশের অভিমত। অথচ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এসব কিছুই হতো না। তবুও তা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান করা হয়েছে। ফলে নানা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচন নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারবে কি-না তা নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)ও এ নিয়ে আশংকা প্রকাশ করেছে। নির্বাচন নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে না হলে তার দায় বর্তাবে ইসির উপর। ফলে ইসিও সংকটে রয়েছে। সিইসি আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক বিশেষ সভায় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু মানুষ তাতে আশ্বস্ত হতে পারছে না। কারণ, সর্ষের ভেতরেই ভূত রয়েছে।
এবার নির্বাচনে প্রার্থিতা সর্বাধিক হওয়ায় দলগুলোর মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পরও প্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হবে। বিভিন্ন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে অনেক। তাই শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা দূরহ। অবশ্য বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সব কেন্দ্রে আর্মি মোতায়েন করা হলে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ থাকবে। কারণ, দুর্বৃত্তরা মাস্তানী করার সাহস পাবে না। মানুষ নিরাপত্তা বোধ করবে। ব্যাপক হারে ভোট কেন্দ্রে যাবে ও ভোট দেবে। নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেড়ে যাবে। আর্মির প্রতি মানুষের আস্থা বেশি। তারাও এ দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহী বলে সেনাপ্রধান জানিয়েছেন। তবুও এ ব্যাপারে ইসি ও সরকারের অনিহা প্রবল। তাদের আগ্রহ আর্মিকে শুধুমাত্র স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখা। কিন্তু এতে ষোলআনা সুফল আসবে না। কারণ, তাদেরকে সহজে ডাকা নাও হতে পারে। আর সেটা হলে তারা কিছুই করতে পারবে না। অপরদিকে, বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের উপর দেশবাসীর আস্থা বেশি। কারণ, তারা নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করেন। কিন্তু ইউরোপীয় পর্যবেক্ষকরা আসন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবেন না বলে জানিয়েছেন। তাই দেশীয় পর্যবেক্ষকরাই শুধু ভরসা। তাদের অনেকের প্রতি মানুষের আস্থা কম। কারণ, তাদের অধিকাংশের মধ্যে দলবাজি ঢুকে পড়েছে দেশের অনেক জরিপ সংস্থা ও মিডিয়ার মতো। বলা বাহুল্য, এবার নির্বাচন নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্যভাবে না হলে দেশে মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। সেতুমন্ত্রী বলেছেন, গৃহযুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে। অপরদিকে, অনেকের অভিমত, বিএনপির লোকজনকে যে হারে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তা অব্যাহত থাকলে নির্বাচনে দলটির পোলিং এজেন্ট দেওয়ার মতো লোক থাকবে না। আবার অনেকের আশংকা, বিএনপি জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে নির্বাচন ভন্ডুল হয়ে যেতে পারে।
নিরপেক্ষ নির্বাচন ও মানবাধিকার বিষয় নিয়ে পশ্চিমাদেশগুলোর মধ্যে কঠোর মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে ১৫ নভেম্বর ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় পার্লামেন্টে গৃহীত প্রস্তাবে বাংলাদেশের অবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষ করে সংবাদমাধ্যম, শিক্ষার্থী, মানবাধিকার কর্মী ও বিরোধী রাজনীতিকদের ওপর চলমান দমন-পীড়নের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। বিতর্কে সদস্যরা বলেছেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে। বিতর্কে অংশ নিয়ে পার্লামেন্টের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ডেলিগেশন প্রধান জ্যঁ লিমবার্ড বলেন, তৈরি পোশাক খাতে নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রম অধিকার অক্ষুণ্ন রাখার জন্য অ্যাকর্ডের দেয়া সুপারিশের পূর্ণ সুবিধা বাংলাদেশ না নেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সন্ত্রাসবাদের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স-নীতি মানবাধিকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। বাংলাদেশে অব্যাহত গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং কঠোর আইন প্রণয়নের বর্তমান ধারায় আমি উদ্বিগ্ন। উপরন্তু সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশা করছি, যাতে বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন থাকবে। এছাড়া, চেক রিপাবলিকের টমাস বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইইউ চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না। সেখানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অপব্যবহার হচ্ছে। মানুষ গুম হয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীরা সরকারের নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। চেক রিপাবলিকের অপর রাজনীতিক হেটম্যান বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হওয়ার জন্যই বাংলাদেশে গুমের মাধ্যমে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। অস্ট্রিয়ার রাজনীতিক জোসেফ ভাইদেনহোলজার বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য অনেক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনই শেষ সুযোগ, যেখানে নির্ধারিত হবে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা ও আইনের শাসন অব্যাহত থাকবে, নাকি পরিস্থিতি অরাজকতা আর বিশৃঙ্খলার দিকে ধাবিত হবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে বাংলাদেশে শুল্ক ও বাণিজ্য সুবিধা বন্ধ করে দেয়া হবে- ইউরোপীয় পার্লামেন্টের কোনো কোনো সদস্যের বক্তব্যে এমন হুঁশিয়ারি ছিল। আলোচনা পর্বে পার্লামেন্ট সদস্য (এমইপি) সাজ্জাদ করিম বলেন, ইইউ অব্যাহতভাবে বাংলাদেশকে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে তাগিদ দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কোনো ফল আসছে না। ইউরোপে বাণিজ্য সুবিধা বাতিল করার বিষয়ে কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারের ক্ষেত্রে কাজ শুরু হয়েছে। এ তালিকায় পরবর্তী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম আসতে পারে।
অপরদিকে, মার্কিন কংগ্রেসে টম ল্যান্টস হিউম্যান রাইটস কমিশনের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে নির্বাচন এবং মানবাধিকার’ শীর্ষক এক আলোচনায় বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর জন সিফটন বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। গুম-খুনের ঘটনাও ঘটছে। বিরোধী দলের লোকজন নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে সক্ষম হচ্ছে না স্বাভাবিকভাবে। বিশেষ বাহিনীর দমন-পীড়নে ভীত-সন্ত্রস্ত অনেকে। বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ এবং অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এহেন নির্দয়-নিষ্ঠুর-পৈশাচিক আচরণ থেকে বিরত করা উচিত। এমনকি গণমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে এমন ভয় আর ভীতি। ফলে সাংবাদিকরা ঠিকমতো কাজ করতে সক্ষম হচ্ছেন না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে।’ বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতির অবসানে মার্কিন কংগ্রেসকে ভূমিকা রাখতে হবে। সিফটন আরও বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে পরবর্তীতে যে সরকার ক্ষমতা নেবে তাদেও বৈধতা থাকবে না। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কার্যকর রাখতেই অবাধ-সুষ্ঠু পরিবেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের বিকল্প নেই।’ উপরন্তু তিনি বলেন, ‘যারা প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত, তারা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষায় থাকা উচিত নয়। অন্যদিকে, উক্ত বিতর্ক অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মোনা বলেন, ‘বাংলাদেশের সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষ করে গণমাধ্যম, শিক্ষার্থী, অ্যাক্টিভিস্ট এবং বিরোধীদের ওপর ক্র্যাক-ডাউন নেমে এসেছে।’
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।