Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম দেয়ায় স্ত্রী তালাক

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম দেয়ায় স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের পরিকোট গ্রামে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পরিকোট গ্রামের মাস্টার আইয়ুব আলীর মেয়ে হাছিনা বেগমের সাথে একই গ্রামের মৃত মোজাফফর আলীর ছেলে সৌদি প্রবাসী সিরাজুল ইসলামের সাথে ২০০২ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ভালোই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। বিয়ের দুই বছরের মধ্যে তাদের ঘরে একটি প্রতিবন্ধী কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। শিশুটির নাম রাখা হয় সানজিদা আক্তার (১১)। এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় পারিবারিক কলহ। সিরাজুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্ত্রীকে প্রায় সময় মারধর ও যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এ ছাড়া স্ত্রী হাছিনা বেগমের সাথে সিরাজুল ইসলাম সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন রাখে। এ ঘটনায় হাছিনা তার মেয়েকে নিয়ে সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে গিয়েও তার কোনো প্রতিকার পায়নি।

জানা যায়, হাছিনা তার স্বামী সিরাজের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে। সিরাজুল ইসলাম ২০০৮ সালে দেশে এসে গোপনে লাকসাম উপজেলার নাওটি গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করে। ওই ঘরে একটি পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। এরপর সে প্রবাসে চলে যাওয়ার পর ২০১৪ সালে তার দ্বিতীয় স্ত্রী পরকীয়া করে চলে যায়। ২০১৫ সালে প্রবাস থেকে দেশে এসে প্রথম স্ত্রী হাছিনা বেগমের সাথে আবার সম্পর্ক সৃষ্টি করে এবং তিন মাস ঘরসংসার করে আবার সউদী আরব চলে যায়। সিরাজুল ইসলাম প্রবাসে যাওয়ার পর আবারো কোনো খোঁজখবর না রাখায় হাছিনা বেগম স্বামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে যৌতুকের মামলা দায়ের করেন। সিরাজুল ইসলাম গত সেপ্টেম্বর মাসে দেশে এসে নিজের মাথায় নিজে আঘাত করে উল্টো গত পহেলা অক্টোবর তার স্ত্রী হাছিনাসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে, হাছিনা বেগম প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম দেয়ায় সিরাজুল ইসলাম তাকে এবং সন্তানকে ১১ বছর কোনো ভরণপোষণ করেননি বলে হাছিনা বেগম জানান।

হাছিনা বেগম আরো জানান, আমি শুনেছি আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। কিন্তু সমাজপতিরা বলছেন ডিভোর্স হয়নি। আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আমার স্ত্রীর মর্যাদা এবং আমার প্রতিবন্ধী সন্তানের পিতৃত্ব দাবি করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তার স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলায় ২৭ দিন জেলহাজতে ছিলাম। আমি আদালতের মাধ্যমে আমার স্ত্রীকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রতিবন্ধী

১৪ মার্চ, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ