পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিতব্য জি টুয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করবেন না তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তায়্যিব এরদোগান। তুরস্কের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘এ হাবের’-কে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবরটি জানিয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্স শহরে শিল্পোন্নত ২০টি দেশের জোট (জি টুয়েন্টি) এর দুইদিনব্যাপী ১৩তম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার তুরস্কের সংবাদমাধ্যম হাবের-এর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এরদোগান ওই সম্মেলনে সউদী যুবরাজ বা সউদী কোনও কর্মকর্তার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন না। এর কয়েক ঘণ্টা আগে এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিনের বরাত দিয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছিল, মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে তুর্কি প্রেসিডেন্টের বৈঠক ‘হতে পারে।’ উল্লেখ্য, ৫৯ বছর বয়সি খাশোগি এক সময় সউদী রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে সউদী যুবরাজের কঠোর সমালোচকে পরিণত হন। গ্রেফতার এড়াতে দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাচনে চলে যান খাশোগি। অপরদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, সউদী অনুসন্ধানী সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ সউদী যুবরাজকে দায়ী করেনি। বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প দাবি করেন, খাশোগি হত্যা নিয়ে সিআইএ এখনও চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ দেয়নি। দ্বিতীয় বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সউদী কনস্যুলেটে গিয়ে হত্যার শিকার হন খাশোগি। যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক খাশোগি সউদী আরবে ফেরার বিষয়ে রিয়াদের চাপ অগ্রাহ্য করে আসছিলেন। প্রথমে রিয়াদের পক্ষ থেকে খাশোগিকে হত্যার কথা অস্বীকার করা হলেও তুরস্কের কর্তৃপক্ষ সউদী আরবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রমাণ হাজির করতে থাকে। এ ঘটনায় সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও ওঠে। একপর্যায়ে খাশোগি কনস্যুলেট ভবনে হত্যার শিকার হয়েছেন বলে স্বীকার করে সউদী কর্তৃপক্ষ। তবে এ হত্যার সঙ্গে যুবরাজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান খাশোগি হত্যার ঘটনায় সরাসরি সউদী যুবরাজকে দায়ী না করলেও তিনি দাবি করেছেন, সউদী আরবের ‹শীর্ষ পর্যায়› থেকে হত্যার নির্দেশ এসেছে। স¤প্রতি সংশ্লিষ্ট সূত্রকে উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সউদী যুবরাজের নির্দেশেই জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে বলে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে সিআইএ। তবে বৃহস্পতিবার সে দাবি নাকচ করে দিয়েছেন ট্রাম্প। খাশোগি হত্যা নিয়ে সিআইএ’র মূল্যায়নের ব্যাপারে সাংবাদিকরা ট্রাম্পের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা এটা ধারণা করেছিল। আমার কাছে প্রতিবেদনটি আছে, তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়নি। আমি জানি না, সউদী যুবরাজই এটা করেছেন বলে কেউ আদৌ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারবে কিনা।’ সিএনএন, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।