রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাতক্ষীরা-১ আসন কলারোয়া-তালায় প্রার্থী নিয়ে আভ্যান্তরীণ বহুমুখি সংকটে মহাজোট আর আদালতের বারান্দা ও পলাতক জীবনে বিএনপি জামায়াত। জানা গেছে, কলারোয়া-তালায় আওয়ামী লীগের ১১ জন সহ মহাজোটের ১৫ মনোনয়ন প্রত্যাশী মনোনয়ন প্রাতাশী। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ইজ্ঞিঃ শেখ মুজিবুর রহমান, সাবেক এমপি বিএম নজরুল ইসলাম. কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন, সাবেক ছাত্র নেতা জেলা পরিষদ সদস্য শেখ আমজাদ, আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ কামাল শুভ্র, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সরদার মুজিব, তালা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেত্রী লায়লা পারভীন সেজুতি, কামরুজামান সোহাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আহসান কবীর টুটুল, ঢাকা হাইকোর্টের এ্যাড, মোহাম্মাদ হোসেন প্রমুখ। এছাড়া মহাজোটের জাপা (এরশাদ) সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত, জাপার জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মুনছুর আলী, জাসদ(ইনু) ওবায়দুস সুলতান, বর্তমান এমপি ওয়ার্কাস পার্টির এ্যাড, মুস্তফা লুৎফুল্যাহ মনোনয়ন প্রার্থী।
অপর দিকে বিএনপি’র সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম, তার স্ত্রী এ্যাড, শাহানারা পারভীন বকুল, বরখাস্তকৃত কলারোয়া পৌর মেয়র আক্তারুল ইসলাম, আতিকুজামান রিপন, আরিফুজামান মামুন, ইসলামী আন্দোলনের আসাদুল হক এবং স্বতন্ত্রভাবে জামায়াত নেতা ইজ্জত উল্লাহ মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। এত বেশী প্রার্থী ও তাদের পক্ষের পদচারণায় নির্বাচনী মাঠ সরগরম হয়ে উঠার কথা। কিন্তু মহাজাটের মনোনয়ন প্রত্যাশায় গ্রুপিং লবিং ব্যস্ত আওয়ামী লীগ ও তার শরিকদলগুলো। মহাজোটের মনোনয়ন নিয়ে পরিস্থিতি এত জটিল আকার ধারণ করে যে নৌকা ভাড়া দেওয়া হবে না বলে জোরালো দাবী তোলা হয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। এই দাবী নিয়ে তালায় একটি সংবাদ সম্মেলন এবং কলারোয়া উপজেলা মোড়ে মানব বন্ধন ও সমাবেশ করা হয়। বিভিন্ন প্রচার পত্র বিলি করা হয়। যারা বিভিন্ন পদে আসীন তাদের মনোনয়নের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণের পরে প্রকাশ্যে দলাদলি স্তিমিত হলেও অনেকে নেপথ্যে পরস্পর বিরোধী কার্যক্রমে সক্রিয় রয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে কলারোয়ায় আওয়ামী লীগের দলাদলির জন্য বর্তমান এমপি ওয়ার্কাস পার্টির এ্যাড, মুস্তফা লুৎফুল্যাহকে দায়ী করা হয়। কার্যত দলীয় ও সরকারী সমস্ত কার্যক্রমে কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান সহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ত করে এমপি’কে কাজ করতে দেখা গেছে। কলারোয়ার সিংহভাগ উন্নয়নের কাজ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীর হাত দিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে। তাই সাধারণ ভোটারা ওয়ার্কাস পার্টির এমপি’র জন্য কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আভ্যান্তরীণ দ্বন্দ্বের অভিযোগ মানতে নারাজ। কারণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক আমিনূল ইসলাম লালটু উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দিয়ে কলারোয়া পৌর মেয়র নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হওয়ার জন্য কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদকে দায়ী করে আভ্যান্তরীণ দ্বন্দ্বের সুত্রপাত ঘটে। সেখানে এমপি মুস্তফা লুৎফুল্যাহ কোন হাত ছিলনা বলে জনসাধারণ জ্ঞাত। তাছাড়া পরস্পরের বিরুদ্ধে কুৎসা রচনা করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রায় সব নেতা গ্রুপিংয়ে ব্যাস্ত থাকার বিষয়ও জনসাধারণ কম বেশী জ্ঞাত। বরং আখের গোছানোর রাজনৈতিক মনোবৃত্তি নেতাদের বিভেদের কারণ বলে জনসাধারণ মনে করে।
ফলে দল গুছিয়ে জনসাধারণকে নির্বাচন মুখি করার বদলে নিজেরা গ্রুপিং লবিং নিয়ে ব্যাস্ত। সাংগঠনিক ভিত বিহিন মহাজোটের শরিকরা আওয়ামী লীগের নৌকায় চড়ে এমপি হওয়ার জন্য মনোনয়ন প্রাপ্তি দৌড়ে ব্যাস্ত সময় পার করছে। অন্যদিকে বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম প্রায় অর্ধডজন এবং পৌর মেয়র আক্তারুল ইসলাম কয়েকটি মামলা নিয়ে আদালত পাড়া, কখনো পলাতক জীবনে রয়েছে। এলাকায় ফিরলে মামলা হওয়ার ভয়ে বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম এলাকায় আসেন না। পুরানো প্রায় অর্ধ শতাধিক মামলা ছাড়াও নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার সপ্তাহ খানেক আগে চারটি মামলায় প্রায় শতাধিক বিএনপি জামাত নেতাকে চিহ্নিত করে অজ্ঞাত আরো প্রায় ২’শ বিএনপি জামাতের নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। ফলে এজাহার ভূক্ত ছাড়াও অজ্ঞাত আসামী হিসাবে গ্রেফতারের ভয়ে বিএনপি জামায়াতের বহু সাধারণ কর্মী পালায়ে বেড়াচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।