মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তার ল ফার্ম-এ তারই সহকারী হিসেবে কাজ করতে এসেছিলেন চনমনে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। কিন্তু তার সঙ্গে দেখা করতে আসার প্রথম দিনই দেরি করেছিলেন ওই যুবক। দিনটা ভাল ভাবেই মনে আছে মিশেল ওবামার। সালটা ১৯৮৯। শিকাগোর সিডলি অ্যান্ড অস্টিন ল ফার্মে মিশেলের সহকারী হিসেবে যিনি যোগ দিতে গিয়েছিলেন, তার নাম বারাক হুসেন ওবামা। আমেরিকার ৪৪তম প্রেসিডেন্ট। তবে সাক্ষাতের প্রথম দিন তাঁকে বেশ পছন্দ হলেও তাকে একেবারেই নিজের জুনিয়র হিসেবে দেখতেন মিশেল। তাই প্রথম বার যখন বারাক তাকে ডেট-এ যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, মিশেল সটান জবাব দিয়ে দেন, ‘আই ডোন্ট ডেট।’
পরে অবশ্য সেই সমীকরণ বদলেছিল। তিন বছরের মাথায় নিজের সেই জুনিয়র সহকারীরই ঘরণী হন মিশেল। নিজের আত্মজীবনী ‘বিকামিং’-এ বারাকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শুরুর দিনগুলির কথা লিখেছেন প্রাক্তন মার্কিন ফার্স্ট লেডি।
বইতে মিশেল আরও লিখেছেন, প্রথম দিন দেরি করার জন্য তিনি কিছুটা রেগে থাকলেও বারাকের মধ্যে এক অদ্ভুত ব্যতিক্রমী আভিজাত্য ছিল, যা প্রথম দিন থেকেই তার নজর কেড়েছিল। এক দিন একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন দু’জন। সেখানে খাওয়ার পরেই সিগারেট ধরান ওবামা। যা মিশেলের নাকি একেবারেই পছন্দ হয়নি। তিনি লিখেছেন, ‘বারাকের সিগারেট খাওয়াটা ছিল আমার বাবার মতো। খাওয়ার পরে হাঁটতে বেরিয়ে বা অসম্ভব কোনও চাপে থাকলে সিগারেট খেতেন আমার বাবা।’ কিছু দিন কাজ করার পরে বারাকই এক দিন ডেট-এর প্রস্তাব দেন। মিশেল রাভন রবিনসনকে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের মনে হয় একসঙ্গে বাইরে বেরোনো উচিত।’ জুনিয়রের কাছ থেকে এমন প্রস্তাব পেয়ে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন প্রথমে। বলেই ফেলেছিলেন, ‘কী! তুমি আর আমি?’ পরে জানিয়েই দেন, তিনি ডেট করা পছন্দ করেন না। তা ছাড়া বারাক যে তার সহকারী হিসেবে কাজ করছেন, তা-ও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন মিশেল। প্রথম বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বারাক দমেননি একেবারেই। উল্টে মিশেলকে বলেছিলেন, ‘জানি তুমি আমার বস। তবে ভীষণই কিউট।’
পরে অবশ্য পাল্টে গিয়েছিল সব হিসেব। তিন বছর পরে সেই জুনিয়রকেই বিয়ে করেছিলেন মিশেল রবিনসন। ১৯৯২-এর ৩ অক্টোবর। মিশেলের নামের সঙ্গে জুড়েছিল ওবামা পদবী। বিয়ের পরে বারাকের আর নিজের ক্যারিয়ার এবং সংসার সামলাতে তিনি কী ভাবে হিমশিম খেতেন, তা-ও লিখেছেন মিশেল। এবং বলেছেন, ‘ওই একটা লোকই আমার জীবনের সব অঙ্কের হিসেব গোলমাল করে দিয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।