Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মার্কেলের পরেই বারাক ওবামা

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী ফরেন পলিসির দৃঢ়চেতা ব্যক্তিত্ব ক্যাটাগরিতে অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের পরের স্থানটি দখল করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ৮ বছরের শাসনামলে সিরীয় সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থতা সত্তে¡ও বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা সামলানো, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিসহ বেশ কিছু কাজের দারুণ কূটনৈতিক বিচক্ষণতা দেখিয়েছিলেন ওবামা। সে কারণেই তাকে তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতা ত্যাগের শেষ মুহূর্তে এসে কিছু ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওবামা। সেসব সিদ্ধান্তের প্রশ্নে তার ইতিবাচক অবস্থানের কথা আগে থেকেই বলে আসছিলেন। এরমধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাশ। যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভেটো প্রদানের ধারাবাহিকতা থেকে বের হয়ে এসে ভোটদানে বিরত থাকার কারণেই প্রস্তাবটি পাশ হতে পেরেছে। ওবামা প্রশাসন এটি দায়িত্ব নিয়ে করেছে এবং সাফ জানিয়ে দিয়েছে, অবৈধ কাজের লাইসেন্স আর দিতে চান না তারা। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ওবামা প্রশাসনের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতাবলে ৫৪৮ একর এলাকাকে সংরক্ষিত প্রাণীজগত হিসেবে ঘোষণা করেছেন ওবামা, যা আর কোনও প্রেসিডেন্ট করেননি। তারপরও ওবামা পরিবেশ বিষয়ক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাতে নিজেকে সফল দাবি করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিম্নআয়ের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করার লক্ষে মার্কিন কংগ্রেসে ২০১০ সালে পাস হওয়া ‘অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ নামে এ স্বাস্থ্যনীতি বারাক ওবামার অন্যতম প্রধান প্রশাসনিক অবদান। ওবামার এ হেলথকেয়ার ‘ওবামাকেয়ার’ নামেও পরিচিত। আইনটি পাসের পর যুক্তরাষ্ট্রে বীমার আওতামুক্ত মানুষের সংখ্যা ১৫.৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৯.১ শতাংশ। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মার্কেলের পরেই বারাক ওবামা

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ