পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার খবর উড়িয়ে দিয়ে গতকাল বৃহষ্পতিবার সউদী আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের বলেছেন, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সর্বোচ্চ সীমায় বা রেড লাইনে রয়েছেন। তাকে সরিয়ে দেয়ার দাবী করা হচ্ছে সীমালঙ্ঘন। এদিকে, চলতি মাসের শেষে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনের সাইডলাইন বৈঠকে সউদী যুবরাজের সঙ্গে ও সাক্ষাত করতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। খবর বিবিসি।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, দেশটির বিশিষ্ট সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাÐের পেছনে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ইন্ধন রয়েছে। এমনকি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএও দাবী করেছে, যুবরাজের নির্দেশেই খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে।
যদিও এটা স্পষ্ট করে এখনও প্রমাণিত হয়নি যে যুবরাজই খাশোগির হত্যাকান্ডের ইন্ধনদাতা, তারপরও বহির্বিশ্বে তার ভাবমর্যাদা নষ্ট হয়েছে। খোদ সউদী রাজপ্রাসাদেও তার অবস্থা কিছুটা নড়বড়ে। এমতাবস্থায় গুঞ্জন উঠেছে য যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে হয়তো তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হবে।
যুবরাজের ক্ষমতায় যাওয়া থেকে বিরত রাখতে রাজপ্রাসাদের ভেতরেই আলোচনা শুরু হয়েছে, বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এমন একটি প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সেই খবর উড়িয়ে দিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, এসব মন্তব্য ভিত্তিহীন ও অগ্রহণযোগ্য। সউদী আরব তার নেতৃত্বের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যুবরাজ সালমান কিংবা তার বাবা সউদী বাদশাহের জন্য মর্যাদাহানিকর কোন আলোচনা সহ্য করা হবে না।
বুধবার রুশ মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কোভ জানিয়েছে, সম্মেলনে সাইডলাইন বৈঠকে বসার সুযোগ রয়েছে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের। বৈঠকে আনুষ্ঠানিক কথাবার্তার পাশাপাশি খাশোগির বিষয়েও কথা হতে পারে তাদের। আগামী ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে তারা দু’জনেই অংশ নিবেন।
এদিকে খাশোগি হত্যায় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জড়িত কিনা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে তা জানতে চেয়েছে মার্কিন সিনেট। মঙ্গলবার সিনেটের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির এক সভায় রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক দলের নেতারা এ ঘটনায় দ্বিতীয় আরেকটি তদন্ত চেয়ে ট্রাম্পকে একটি চিঠিও দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে অবস্থিত সউদী কনস্যুলেটে প্রবেশের পর হত্যা করা হয় সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে যুবরাজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।