পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা বলেছেন যে, আফগানিস্তানে তালেবানদের হারানো যাচ্ছে না। আর দেশটিতে শান্তি আনতে হলে আরো অনেক কিছু করতে হবে। নোবা স্কটিয়ার হ্যালিফ্যাক্সে নিরাপত্তা ফোরামে এক আলোচনায় জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড বলেন, তারা এখন আর হারছে না, এ কথা বলাই ফেয়ার হবে বলে আমি মনে করি। আমরা এক বছর আগে অচলাবস্থা শব্দটি ব্যবহার করেছিলাম। আর বলতে গেলে সেই অবস্থার তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। ডানফোর্ড বলেন যে, সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে আফগানিস্তানে শান্তি আনা যাবে না। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ন্যাটো অংশীদাররা সামরিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক লিভারেজ ব্যবহার করে চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে তালেবানদের বুঝাতে চায় যে তাদের স্বার্থেই এই সংকটের রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে কাবুল সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। তিনি বলেন, আমি বিস্তারিত উল্লেখ না করে এখানে বলছি যে তালেবানরাও জানে যে একটি পয়েন্টে গিয়ে তাদেরকে সমঝোতায় আসতে হবে। তালেবানদের উপর সবদিক থেকে চাপ প্রয়োগ করা গেলে সফলতা আসবে। আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক নির্বাচনকে মোটামুটি সফল ও আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তালেবানদের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছি এমন কথা বলা জন্য আমাদের আরো অনেক দূর যেতে হবে। অপর এক খবরে বলা হয়, ২০১৯ সালের এপ্রিলের মধ্যেই জঙ্গি গোষ্ঠী তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে উপনীত হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ। রোববার স্থানীয় গণমাধ্যম একথা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, তালেবান এবং আফগান সরকারের মধ্যে আলোচনার নেতৃত্ব দিতে কাবুল সফরে থাকা খলিলজাদ স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, আগামী বছর ২০ এপ্রিলের আগেই একটি শান্তিচুক্তি হবে বলে তিনি আশা করছেন। ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিলে আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। আফগান-বংশোদ্ভূত মার্কিন কূটনীতিক খলিলজাদ বলেন, শান্তি আলোচনা নিয়ে তিনি আশাবাদী। তালেবানের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন খলিলজাদকে নিয়োগ করেছে। গত মাসে তিনি তালেবান গোষ্ঠীর কট্টরপন্থি নেতাদের সঙ্গে কাতারে বৈঠকও করেছেন। আফগানিস্তানে ১৭ বছরের যুদ্ধ শেষের উপায় খুঁজতেই এ বৈঠক করেন খলিলজাদ। রোববার তিনি বলেন, আলোচনার শেষ ধাপেই আসবে “শান্তি এবং সফল একটি আফগানিস্তান,” যা খোদ আফগানিস্তান কিংবা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কারো জন্যই হুমকি হবে না। এ ব্যাপারে তালেবানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে দুই ঊর্ধ্বতন তালেবান নেতা বলেছেন, তারা খলিলজাদের কাছে নতুন কয়েকদফা দাবি জানাবেন। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে তালেবান শাসন অবসানের সতের বছর পর এসে গ্রুপটি এখন দেশের অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করছে। প্রায় প্রতিদিন তালেবান হামলায় ডজন ডজন আফগান সেনা ও সরকারি কর্মকর্তা প্রাণ দিচ্ছে। ওই দুই ব্যক্তি দাবি করেন যে খলিলজাদের সঙ্গে টানা আলোচনায় অংশ নেন হেরাতের সাবেক তালেবান গভর্নর খাইরুল্লাহ খাইরখুহা ও তালেবানের সাবেক সেনা প্রধান মোহাম্মদ ফজল। এই স্পর্শকাতর আলোচনা বিষয়ে কথা বলার দায়িত্বপ্রাপ্ত না হওয়ায় ওই দুই ব্যক্তি পরিচয় প্রকাশে রাজি হননি। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। তালেবানদের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে কিছু জানাতে অস্বীকার করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রয়টার্স, এএফপি, এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।