নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২০০১ থেকে ২০১৭, সময়টাকে বলা যায় শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের জন্য বিশেষ এক অধ্যায়। যে অধ্যায়ে রচিত হয়েছে জয়াবর্ধনে-সাঙ্গাকারা-মুরালিধরনদের নিয়ে অসাধারণ সব গল্প। প্রায় দেড় যুগের এই দীর্ঘ সময়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে কোনদিন টেস্ট সিরিজ জিতেতে পারেনি প্রতাপশালী ইংল্যান্ড। লঙ্কান কিংবদন্তিদের সেই অধ্যায় শেষ হয়েছে। ইতিহাসের সফলতম বাঁ-হাতি স্পিনার রঙ্গনা হেরাথও ১৯ বছরের ক্যারিয়ার শেষে চলে গেলেন চলমান সিরিজের প্রথম টেস্টের মধ্য দিয়ে। ইংল্যান্ডও ১৭ বছর পর দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে পুতে গেল টেস্ট সিরিজ জয়ের নিশান।
তিন ম্যাচ সিরিজে এখনো একটি টেস্ট বাকি। গল টেস্টে বড় ব্যবধানে জিতে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। গতকাল শেষ হওয়া ক্যান্ডি টেস্টও ৫৭ রানে জিতে সফরকারী দলটি নিশ্চিত করেছে সিরিজ। শেষ দিনে জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কাকে করতে হত ৭৫ রান, ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৩ উইকেট। ৫৮ বলের স্থায়ীত্বে ১৭ রান যোগ করে উইকেট তিনটি খুঁইয়ে ২৪৩ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা।
স্বাগতিকদের ফিকে হওয়া আশা যা একটু গেজে ছিল নিরোশান ডিকভেলাকে ঘিরে। ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। দিনের পঞ্চম ওভারে তাকে ফিরিয়ে আশার বাতি নিভিয়ে দেন মঈন আলি। একই ওভারে সুরেঙ্গা লাকমলকেও তুলে নেন মঈন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে পুষ্কপুকারাকে তুলে নিয়ে পাঁচ উইকেটের কোটা পূর্ণ করেন টপ অর্ডারে তাণ্ডব চালানো লেগ স্পিনার জ্যাক লিচ। তিন ম্যাচের ক্যারিয়ারে এটি তার প্রথম পাঁচ উইকেট শিকার। মঈন নেন চারটি। বাকি উইকেটটি নেন আদিল রশিদ। পেসারদের ঝুলিতে নেই একটি উইকেটও। প্রথম ইনিংসেও ৯ উইকেট ভাগাভাগি করে নেন চার স্পিনার মিলে, বাকিটা ছিল রান আউট। এ নিয়ে তৃতীয়বার পেসারদের সহায়তা ছাড়াই টেস্ট জিতল ইংল্যান্ড, আগেরটা ১৯৫৬ সালের ওল্ড ট্রাফোর্ড অ্যাসেজে। যে ম্যাচে জিম ল্যাকার একাই নিয়েছিলেন ১৯ উইকেট। আরো অবাক করা বিষয় হলো- ম্যাচে কেন, পুরো সিরিজেই এখন পর্যন্ত কোন উইকেট নিতে পারেননি ইংলিশ পেসাররা।
ক্যান্ডি টেস্টে একমাত্র পেসার হিসেবে একটি উইকেট পেয়েছেন লাকমাল, একটি হয়েছে রান আউট। বাকি ৩৮ উইকেটই গেছে স্পিনারদের ঝুলিতে। এটাও একটা রেকর্ড। এর আগে ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩৭ উইকেট নিয়েছিলেন স্পিনাররা। সেটাও প্রায় অর্ধ শতাব্দী আগে, ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে ভারত-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার নাগপুর টেস্টে।
তবে সিরিজের গল্পটা বোলারদের নিয়ে রচিত হলেও ম্যাচসেরার পুরস্কার কিন্তু এবারো উঠেছে ব্যাটসম্যানের হাতে। স্পিন আখড়ায় তৃতীয় ইনিংসে ১২৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলে যে পুরষ্কার জিতে নিয়েছেন ইংলিশ দলপতি জো রুট। আগামী শুক্রবার থেকে কলম্বোয় ধবলধোলাই এড়াতে লড়বে শ্রীলঙ্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড : ২৯০ (কারান ৬৪, বাটলার ৬৩; দিলরুয়ান ৪/৬১) ও ৩৪৬ (রুট ১২৪, ফোকস ৬৫, বার্নস ৫৯; দনাঞ্জয়া ৬-১১৫)। শ্রীলঙ্কা : ৩৩৬ (রোশান ৮৫, করুনারতেœ ৬৩, লিচ ৩/৭০, রশিদ ৩/৭৫) ও ২৪৩ (ম্যাথিউস ৮৮, করুনারতেœ ৫৭; লিচ ৫/৮৩, মঈন ৪/৭২)। ফল : ইংল্যান্ড ৫৭ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা : জো রুট। সিরিজ : তিন ম্যাচ সিরিজে ইংল্যান্ড ২-০তে এগিয়ে।
ম্যাচে স্পিনারদের সর্বোচ্চ উইকেট
ম্যাচ উইকেট ভেন্যু
শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ড ৩৮ পাল্লেকেলে, ২০১৮
ভারত-অস্ট্রেলিয়া ৩৭ নাগপুর, ১৯৬৯
ভারত-অস্ট্রেলিয়া ৩৫ কলকাতা, ১৯৫৬
ভারত-পাকিস্তান ৩৫ রেঙ্গালুরু, ১৯৮৭
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।