বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আমরা কাউকে প্রতারক, নির্যাতনকারী কিংবা নিপীড়ক হিসেবে নয়, সমাজ এবং দেশ গঠনে নারীর সহযাত্রী হিসেবে পাশে চাই। হাতে হাত মিলিয়ে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে #মিটু আন্দোলনের পক্ষে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ কথা বলেন। কর্মসূচিতে সাংবাদিক, উন্নয়নকর্মী ছাড়াও নানা শ্রেণী-পেশার নারী-পুরুষ অংশ নেন।
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগায়োগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. গীতিয়ারা নাসরিন বাংলাদেশ থেকে যৌন সন্ত্রাস উৎখাত করার জন্য যারা হ্যাশট্যাগ মিটু আন্দোলন শুরু করেছে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।তিনি বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে, নিপীড়নের বিষয়টি বলতে পারা। দ্বিতীয়ত, নিপীড়নবিরোধী আইন কানুন আছে সেগুলো জোরালো করা। দীর্ঘদিন ধরে যৌন নিপীড়নবিরোধী আইনের কথা বলা হলেও সেটি এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যৌন নিপীড়ন নিয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশ প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের গ্রহণ করার কথা থাকলেও এখনো করেনি। নিপীড়নকারীদের উদ্দেশ্যে বেসরকারি সংস্থা নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশি কবির বলেন, সময় এসেছে জোর কণ্ঠে মানুষ হিসেবে কথা বলার। আমরা নারী-পুরুষ সবাইকে মানুষ হিসেবে গণ্য করতে চাই। নিপীড়ক হিসেবে চিহ্নিত করতে চাই না। সমাজ গঠনে সহযোদ্ধা হিসেবে পাশে চাই।
তিনি বলেন, #মিটু আন্দোলনে শুধু ক’জন নারী নয়, আস্তে আস্তে সবাই মুখ খুলবে। সবার আসল চেহারা উন্মোচিত হবে। যারা কাঁন্নাকাটি করছেন, আমার বউ আছে, সন্তান আছে। যখন নিপীড়ন করেছিলেন তখন এসব মনে ছিলো না। সাংবাদিক শারমীন রিনভী বলেন, এ আন্দোলন কোনো পুরুষের বিরুদ্ধে নয়, নিপীড়কদের বিরুদ্ধে। আমরা জানি সবাই খারাপ না। যারা খারাপ তাদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য আজকের এ আন্দোলন। পুরুষদেরও বলছি, যারা ভালো তারা আমাদের পাশে দাঁড়ান। সাংবাদিক নাদিয়া শারমীন বলেন, #মিটু আন্দোলন শুধু নারীদের নয়, পুরুষদেরও মুখ খুলতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি যৌন নিপীড়নের শিকার শুধু নারী নয় পুরুষও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।