মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) শিগগিরই মিয়ানমারের কাছ থেকে চাল আমদানির উপর শুল্ক পুনর্বহাল করতে পারে। কিন্তু নেপিদোর জন্য আরও বড় সমস্যার বিষয় হলো দেশের মধ্যে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন দেশটির সমস্ত রফতানি পণ্যের উপর থেকে সব ধরনের বাণিজ্য সুবিধা প্রত্যাহারের চিন্তা ভাবনা করছে।
৩১ অক্টোবর মিয়ানমারে চারদিনের পর্যবেক্ষণ মিশন শেষ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। তারা দেখার চেষ্টা করেছেন, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এবং কাচিন ও শান প্রদেশের জনগোষ্ঠির বিরুদ্ধে দেশের সেনাবাহিনী বা তাতমাদাও এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে কি না।
ইইউ-এর এক মুখপাত্র এশিয়া টাইমসকে বলেন, মিয়ানমারের মানবিক পরিস্থিতি যাচাইয়ের জন্য কোন সময়সীমা বেধে দেয়া হয়নি। যদিও কমিশন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মিয়ানমারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।
এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) স্কিমের অধীনে মিয়ানমার যে বাণিজ্য সুবিধা পেয়ে এসেছে, জাতিসংঘ সনদ এবং মানবাধিকার ও শ্রম-অধিকারের মূলনীতিগুলো মেনে না চললে সেগুলো তারা হারাতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইইউ সাধারণত এলডিসিভুক্ত (স্বল্পোন্নত দেশ) দেশগুলোর অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য তাদেরকে ইউরোপের বাজারে সকল পণ্যের কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দিয়ে থাকে।
একই ধরনের ক্ষেত্রে, কম্বোডিয়াকে দেয়া বাণিজ্য সুবিধা প্রত্যাহারের জন্যও কাজ করছে ইইউ। রাজনৈতিক বহুত্ববাদের জায়গা থেকে সরে যাওয়ায় কম্বোডিয়া সরকারকে শাস্তি দিতে এ পদক্ষেপ নেবে ইইউ।
ইইউ সুস্পষ্টভাবে মিয়ানমারের সরকারের ব্যাপারে তাদের অবস্থানকে কঠোর করছে। রাখাইন রাজ্যের একটি গ্রামে দশজন রোহিঙ্গাকে হত্যার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত ও রিপোর্ট করার কারণে রয়টার্সের দুজন সাংবাদিককে আটক করার কারণে ইইউ ও মিয়ানমারের মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে।
যদিও মিয়ানমারের চাল রফতানি সীমিত করার জন্য ইইউ-এর সিদ্ধান্তের পেছনে অর্থনৈতিক কারণ রয়েছে, এরপরও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বর্বরতাও এখানে ভূমিকা রাখছে।
ইতোমধ্যে, তাতমাদাও ও মিয়ানমারের পুলিশ বাহিনীর সাতজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞামূলক পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে ইইউ। এই কর্মকর্তারা রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার সাথে জড়িত। জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধানী রিপোর্টে মিয়ানমারে মারাত্মক মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। ওই রিপোর্টের আলোকে ইউরোপিয় ইউনিয়ন এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্র: এশিয়া টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।