বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের বিএনপির দুইবারের সাবেক এমপি, মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এর আগে মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির নেতা পুলক (৩৬) গ্রেপ্তার হন।
তার পরিবার জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। পুলকের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার বানিয়ারা গ্রামে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে তিনি ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে তার ছোট ভাই মির্জাপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলী আজম সিদ্দিকী জানিয়েছেন।
তিনি গ্রেপ্তার হওয়ায় মির্জাপুরে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ক্ষুব্দ নেতাকর্মীরা অবিলম্বে নিঃশর্তে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর মুক্তির দাবি জানিয়েছে।
মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার মো. আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকার সেহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়েছিলেন। সমাবেশস্থলে যাওয়ার পুর্বে গেটের সামনে থেকে একদল ডিবি পুলিশ তাকে জোরপূর্বক গ্রেপ্তার করে টেনেহিঁচড়ে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. তারিকুল ইসলাম নয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী ও বিএনপি নেতা পুলককে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি তাদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী ও পুলক গ্রেপ্তার হওয়ায় বিএনপির জাতীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সাইদুর রহমান সাইদ সোহরাব, জেলা বিএনপির নেতা মো. ফিরোজ হায়দার খান, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. হযরত আলী মিঞা, সাধারন সম্পাদক মো. জুলহাস মিয়া, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান শফিকুল ইসলাম মিয়াসহ সভাপতি মো. আব্দুল কাদের মিয়া, মো. নুরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. ফরিদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. মঞ্জুর এলাহী অঞ্জন, পৌর ছাত্রলের সভাপতি মো. হাসান সিদ্দিকী, যুবদলের সভাপতি গোলাম মোস্তফা জীবন ও সাধারণ সম্পাদক ডি এম মতিন তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।