পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সউদী আরবে প্রথম পরমাণু গবেষণা চুল্লির উদ্বোধন করেছেন সউদীর ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। সোমবার এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এর মাধ্যমে দেশটি পরমাণবিক শক্তি অর্জনে যাত্রা শুরু করলো।
কিং আবদুল আজিজ সিটি ফর সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (কেএসিএসটি) ক্রাউন প্রিন্সের সফরকালেই এই প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। আগামী বছরের শেষের দিকেই এই পরমাণু চুল্লির কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সউদী আরবের জ্বালানির উৎসকে বহুমুখী করে তোলার লক্ষ্যে এই পরমাণু কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে বলে জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ।
এর আগে, কেএসিএসটিতে সফরে গিয়ে পুনর্নবায়নযোগ্য শক্তি, পরমাণু শক্তি, পানি থেকে লবনাক্তভাব কমানোর প্রযুক্তি, জেনেটিক ওষুধ এবং বিমানের নকশাসহ সাতটি প্রকল্প ঘোষণা করেন প্রিন্স সালমান। সেগুলোর মধ্যে বিমানের কাঠামো তৈরী ও এই পরমাণু প্রকল্প অন্যতম।
সউদী সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩২ সালের মধ্যে ১৭.৬ গিগাওয়াট পরমাণবিক শক্তি অর্জনেরর লক্ষ্যে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ১৬টি পরমাণু চুল্লি তৈরি করবেন তারা। গত মার্চেই প্রিন্স সালমান বলেছিলেন, ইরান যদি পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারে তাহলে রিয়াদও করবে।
আরব দেশগুলোর মধ্যে সউদীও দেশীয় পরমাণু চুল্লি তৈরি করতে চায় বলে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন প্রিন্স সালমান। আগামী ২৫ বছরের মধ্যেই দুটি পূর্ণাঙ্গ পরমাণু শক্তি চুল্লি তৈরির পরিকল্পনা করছে সউদী।
ইন্টারন্যাশনাল অটোমিক এনার্জি এজেন্সির মানদন্ড অনুসরণ করেই এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এই প্রকল্পে ইউরেনিয়াম অক্সাইড ফুয়েল ২ দশমিক ১ শতাংশ ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইরান ও বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর মধ্যে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তির বিরোধিতা করে আসছে সউদী আরব। গত মে মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই চুক্তি ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানালে তাকে স্বাগত জানায় দেশটি। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।