বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, সংবিধানে আমার বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। লেখার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। সভা-সমাবেশে নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু আমার বাকস্বাধীনতা কোথায়? গতকাল (সোমবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আপনি তো গণতান্ত্রিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দাবি করেন। সংবিধানের কথা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যতবার বলেন অন্য কেউ এতো বার বলে না। তারপরও আমার কথা বলার স্বাধীনতা নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা নামের যে আইন করেছেন তা সংবিধানে সাংঘর্ষিক। আপনি তা পাশ করিয়েছেন। তাহলে সংবিধান এখন কোথায়? স্বাধীনতা ঘোষকের পরিবার আজ আওয়ামী লীগ শাসনকালে নিশ্চিহ্ন করার মহাপরিকল্পনা চলছে। সারা দেশে নব্বই হাজারের অধিক যে মামলা হয়েছে, যার আসামি প্রায় ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ লাখ। যারা জেলে রয়েছেন তাদেরকে মুক্তি দেন। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের ওপর হামলার বিষয়ে সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, গ্রেফতার করেছেন, যেটি জামিনযোগ্য মামলা সেটি জামিন তো দেননি বরং তাকে রংপুরে নিয়ে আপনার কর্মী বাহিনীদের লেলিয়ে দিয়েছেন। তার ওপর বন্দি অবস্থায় আক্রমণ করা হয়েছে। এগুলা ভালো দৃষ্টান্ত না। এগুলো গণতান্ত্রিক শাসনের সাথে যায় না। এগুলো স্বৈরশাসকের কাজ। আপনি নিজেকে গণতান্ত্রিক দাবি করবেন, আবার স্বৈরশাসকের কাজ করবেন, দুইটা এক সাথে যায় না। সংগঠনের সভাপতি এম. গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সুকুমার বড়ুয়া, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।