বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অবৈধ অনির্বাচিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারকে রাষ্ট্রক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার হাতিয়ার পুলিশ ও ডিবি খুলনা মহানগরী এলাকায় গণগ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। শুধু রাতেই নয়, দিনভর নগরীর বিভিন্ন থানা থেকে গ্রেফতার করা হচ্ছে রাজনৈতিক কর্মীদের। গত রোববার বিকেল থেকে গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত নতুন করে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আরো ১২ নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। এর আগে গত ২৬ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া নতুন গ্রেফতারি অভিযানে কারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বিএনপির ৯১ নেতাকর্মী। এ হিসেবে গত ১১ দিনে খুলনা মহানগরীতে গ্রেফতার হলেন ১০৩ জন।
নতুন করে গ্রেফতারের শিকার নেতাকর্মীরা হলেন নুরুল আলম, মোহাম্মদ শাহিন, গোলামুন নবী, বাবু, বাবুল শেখ, লিটন খান, আব্দুল হাই কালু, তুহিন খন্দকার, ইবাদুল হক, খন্দকার আকিরুল ইসলাম, আব্দুল হান্নান ও হেলাল শেখ।
এদিকে গ্রেফতার নেতাকর্মীদেরকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন নগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এক বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, সংলাপের মাধ্যমে যখন সংকট নিরসন হবে বলে সমগ্র জাতি প্রত্যাশা করছে, সেই সময় খুলনাসহ সারা দেশব্যাপি বিএনপির নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করে এবং শত শত গায়েবী মামলা দিয়ে সরকার প্রমাণ করতে চাইছে, তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না করে বরং বিএনপির নেতাকর্মীদের জেলে পাঠিয়ে আবারও একতরফা একটি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে চায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই জালেম সরকারের বিরুদ্ধে গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কিছু সংখ্যক উচ্ছিষ্টভোজী পরজীবী ছাড়া বাকি সবাই আজ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পতাকা তলে এসেছে। দেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগনের ভোটের অধিকার এবার প্রতিষ্ঠিত হবেই। এর বিরুদ্ধে কোন চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। ফ্যাসিবাদের শোষণের যাতাকলে পিষ্ঠ জনগন ফুঁসে উঠলে এই সরকার পালাবার পথ পাবেনা বলে তারা মন্তব্য করেন। সেই সাথে অতি উৎসাহী পুলিশ, যারা বিএনপির কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে অভিযানের নামে তল্লাশি চালানোর সময় ভাঙচুর, তছনছ ও তান্ডবলীলা চালাচ্ছেন, পরিবারের সদস্যদের সাথে দুর্ব্যবহার ও অশালীন আচরণ ও হুমকি দিচ্ছেন, তাদেরকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দিয়ে নিজেদেরকে সংযত করার পরামর্শ দেন। অন্যথায় অদূর ভবিষ্যতে এই আচরণের জন্য জবাবদিহি করতে হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিদাতারা হলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই, সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সৈয়দা নার্গিস আলী, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।