যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ, জিল্লুর রহমান জিল্লু ও মিজানুর রহমান মিল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য পদে যুক্ত হলেন
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির তিন নেতাকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন
আরব আমিরাত সরকারের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণায় বৈধতার বিশেষ সুযোগ পেয়েও অবৈধ থেকে বেআইনি কর্মকান্ডেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন একশ্রেণীর বাংলাদেশি। তাদের কর্মকান্ড দেখে এবং খোঁজ-খবর নিয়ে এমনটিই মনে হচ্ছে। ক্ষমার মেয়াদ শেষে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অভিযানে তখন ধরা পড়লে পরিণতি কী হবে তা নিয়েও যেন কোন চিন্তা-ভাবনা নেই তাদের। অথচ আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ডা. মোহাম্মদ ইমরান বার বার বলে আসছেন, যারা অবৈধভাবে দেশটিতে অবস্থান করছেন তারা যেন নিজ দেশের সম্মান বৃদ্ধিতে আমিরাত সরকারের ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে দ্রুত বৈধ হয়ে যাক বা আউট পাস নিয়ে দেশে ফিরে যাক। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, কে শোনে কার কথা। কোথায় দেশ, কোথায় দেশের ভাবমর্যাদা? গত ৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমিরাতে বাংলাদেশীদের নতুন নিয়োগ ভিসা কেন বন্ধ রয়েছে তা নিয়েও কোন ভাবনা নেই তাদের।
গত শুক্রবার সকালে আমিরাতের আজমানের নয়া সানাইয়ায় পাকিস্তানী একটি হোটেলের সামনে দেখা গেল বেশ কিছু মানুষের জটলা। জানা গেল, এরা হলেন বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান থেকে আসা শ্রমিক। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে ৯-১০টা পর্যন্ত এদের সমাগম ঘটে এখানে। আসেন শ্রম বিক্রি করতে। আবার কিছু মানুষ আসেন তাদের কিনতে। চলতে থাকে অন্যান্য পণ্যের মতো দর কষাকষি। এরই মধ্য দিয়ে এক পর্যায়ে বিক্রি হয় তাদের শ্রম। এদের বেশিরভাগই কর্মস্থল ত্যাগ করে অবৈধ হয়ে গেছে। ভিজিট ভিসায় এসে বিজনেস পার্টনার ভিসা লাগিয়ে এ বেআইনি পথ বেছে নিয়েছে।
তাছাড়া এদের মধ্যে কিছু লোক রয়েছেন যারা পান বা পান জাতীয় দ্রব্য বিক্রি, ডাকাডাকি করে মোবাইলে ব্যালেন্স দেয়া, রাস্তার পাশে পোশাক, মুরগি, শাক-সবজি, বা মুদি আইটেমের হরেক রকম পণ্যের পসরা বসিয়ে বিক্রি করে চলেছেন। এগুলো একেবারেই পছন্দ নয় আমিরাতের। মাঝে-মধ্যে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে অনেককে ধরে দেশেও পাঠিয়ে দেয়। যারা বিজনেস পার্টনার ভিসা লাগিয়ে অথবা ভিজিটে এসে এসব কাজ করছেন তাদেরকে নানা রকম তিরস্কার করতেও শোনা যায়। তারপরও নিজ দেশের ভাবমর্যাদা উজ্জলে সচেতন হচ্ছেন না এসব বাংলাদেশি।
আমিরাত সরকার বিশেষ বিবেচনায় দেশটিতে থাকা এ ধরনের অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে বৈধ হয়ে ভালোভাবে বসবাসের অথবা আমিরাত ছেড়ে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য গত ১ আগস্ট থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ঘোষিত তিন মাসের ক্ষমা ঘোষণা করে। এর মেয়াদ শেষে আবারো এক মাস বাড়িয়ে ১ ডিসেম্বর করা হয়। তাই এখন পর্যন্ত যারা বৈধতা লাভ করেননি তাদেরকে দেশের ভাবমর্যাদা উজ্জলে দ্রুত বৈধ হওয়ার অথবা দেশে ফিরে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।
প্রবাস জীবন বিভাগে সংবাদ পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।