মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তির অধীনে বাতিল করা ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউস বলছে, ইরানের ওপর জারি করা কঠিনতম নিষেধাজ্ঞা হতে যাচ্ছে এটা। এবারের নিষধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু হবে ইরানের জ্বালানি, সমুদ্র পরিবহন এবং ব্যাংকিং খাত। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইরানের তেল আমদানি অব্যাহত রাখা আটটি দেশকে এখনই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনছে না যুক্তরাষ্ট্র। পারমাণবিক চুক্তি বহাল রাখতে চাওয়া ইউরোপীয় দেশগুলো বলছে, ইরানের সঙ্গে ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈধ বাণিজ্যকে সুরক্ষা দেবে তারা। এদিকে মে মাস থেকে ইরানের ওপর দ্বিতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। ২০১৫ সালে ওবামা আমলে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তিতে মারাত্মক ত্রুটি আছে দাবি করে গত মে মাসে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই ঘোষণার পর ধারাবাহিকভাবে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই চুক্তি অনুযায়ী পারমাণবিক কর্মসূচি শিথিল করার বিনিময়ে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে সুরক্ষা পেয়ে আসছিল ইরান। শুক্রবার এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প বলেন, নিষেধাজ্ঞা আসছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের ওপর এবারে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে ইরানের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তিগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নিরুদ্বিগ্ন তারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করছেন, এই চুক্তি অগ্রহণযোগ্য কারণ এর মাধ্যমে ইরানের ব্যালেস্টিক মিসাইল কর্মসূচি বন্ধ করা যায়নি। আর সিরিয়া ও ইয়েমেনসহ প্রতিবেশি দেশগুলোতে ইরানের হস্তক্ষেপ বন্ধ করা যায়নি। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘মনস্তাত্তি¡ক যুদ্ধ’ শুরুর অভিযোগ করেছে ইরান। আগামী ৫ নভেম্বর (সোমবার) থেকে পুনর্বহাল হবে ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। এর লক্ষ্যবস্তু হবে, সমুদ্র পরিবহন, জাহাজ নির্মাণ, অর্থনীতি এবং জ্বালানি। ইরানের সাতশোরও বেশি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, জাহাজ ও বিমানকে রাখা হয়েছে নিষেধাজ্ঞার তালিকায়। এর মধ্যে আরও থাকবে বড় বড় ব্যাংক, তেল রফতানিকারক, সমুদ্র পরিবহন কোম্পানিও। এর আগে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি ইরান থেকে তেল আমদানি করা দেশগুলোকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে এখনই সেই ঘোষণা বাস্তবায়ন করছে না যুক্তরাষ্ট্র। এর ব্যাখ্যা হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও বলেছেন, কয়েকটি দেশ এখনই ইরানের তেল আমদানি বন্ধ করতে পারবে না। এখন তাদের এই শর্তেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে যে তারা ইরানের তেল আমদানি ধাপে ধাপে কমিয়ে দেবে এবং একসময় তা বন্ধ করে দেবে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।