Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মমতার ছবির দাম নিয়ে তদন্তে সিবিআই

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:২৫ পিএম

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবি কে বা কারা কিনেছিলেন, তা নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত তদন্ত করছিল ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই। এরই অংশ হিসেবে এবার এসব ছবির প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ ও ক্রেতাদের অর্থের উৎস সন্ধানে বিক্রি হওয়া কিছু ছবি নিজেদের জিম্মায় নিয়েছে সিবিআই।
সূত্র জানায়, গত বুধবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ী শিবাজি পাঁজাকে ডেকে পাঠানো হয়। ২০১১ সালে মমতার আঁকা কিছু ছবি মোট ৫০ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন তিনি। এরমধ্যে ১০টি ছবি তাকে সিজিও কমপ্লেক্সে জমা দিতে বলা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে শিবাজির আইনজীবী ছবিগুলি সেখানে দিয়ে আসেন।
সিবিআই জানিয়েছে ছবিগুলি সাধারণ ভাবে বাজারে যাচাই করে সেগুলির মূল্যায়ন করা হবে। পাশাপাশি যে টাকা দিয়ে ছবি কেনা হয়েছিল, তার উৎস সন্ধানও করা হবে।
এদিকে কিসের ভিত্তিতে ছবির দাম যাচাই করা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেননা, কোন ছবির কী দাম হবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সূত্র বা মাপকাঠি নেই। তা চিত্রকরের খ্যাতি, সামাজিক অবস্থান, ক্রেতার পছন্দ, আর্থিক ক্ষমতা— ইত্যাদি বহুবিধ বিষয়ের উপরে নির্ভর করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবর্তনও হয়।
সিবিআই সূত্র জানিয়েছে, কেউ সৎ পথে অর্জিত টাকা দিয়ে ছবি কিনলে তাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু সারদার সুদীপ্ত সেন এবং রোজ ভ্যালির গৌতম কুণ্ডুও মমতার আঁকা ছবি কিনেছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে ভুল বুঝিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। সিবিআইয়ের যুক্তি, সেই টাকা দিয়ে ছবি কেনা হয়েছে কি না, তা অবশ্যই তদন্ত করা হবে।
তা হলে শিবাজির কেনা ছবি কেন বাজেয়াপ্ত করা হল- এমন প্রশ্নের উত্তরে সিবিআইয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ‘তদন্তের অংশ হিসেবে এসব ছবি নেয়া হয়েছে। আরও ছবি নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
এদিকে, সিবিআইয়ের এই তৎপরতা প্রসঙ্গে মমতার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, ছবি বিক্রি করে পাওয়া টাকা মানুষের কল্যাণে ব্যয় করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের ত্রাণ তহবিলে সেই টাকা দান করা হয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ