Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আ.লীগের টার্গেট ধরে রাখা বিএনপি চায় পুনরুদ্ধার

চট্টগ্রাম-৭ রাঙ্গুনীয়ায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া

চট্টগ্রাম ব্যুরো ও রাঙ্গুনীয়া উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৭ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম-৭ রাঙ্গুনীয়া চলছে প্রচার-প্রচারণা। আ.লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নানা কর্মসূচির মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মামলায় জর্জরিত বিএনপির নেতাকর্মীরা এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে। সামাজিক অনুষ্ঠানের বাইরে তাদের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেখা যাচ্ছে না। আ.লীগ চায় আসনটি ধরে রাখতে। অন্য দিকে, আসনটি পুনরুদ্ধারে নানা পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। ভোটাররাও সার্বিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। এরশাদের জাতীয় পার্টি, কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রমের এলডিপি ও ইসলামী ঐক্যজোটের মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও মাঠে আছেন। শেষ পর্যন্ত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে বিএনপি নির্বাচনে এলে পরিস্থিতি কি দাঁড়ায় তা নিয়েও এলাকাবাসীর মধ্যে আগ্রহের কমতি নেই।

আবারো মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বর্তমান সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় আ.লীগের প্রচার সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। নৌকার মনোনয়ন পেতে তৎপর রয়েছেন বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা: ফয়সল ইকবাল চৌধুরী ও স্থানীয় আ.লীগ নেতা মো. ওসমান গণি চৌধুরী। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন ওই এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের কেউ প্রার্থী না হলে ভোটের লড়াইয়ে নামতে চান উপজেলা বিএনপির আহŸায়ক শওকত আলী নূর। এ ছাড়া ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি মো. ফয়জুল্লাহও মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানা গেছে।

রাঙ্গুনীয়া উপজেলা ও বোয়ালখালীর কিছু অংশ নিয়ে চট্টগ্রাম-৭ আসন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মরহুম সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে পরাজিত করে আ.লীগের ড. হাছান মাহমুদ নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে একক প্রার্থী হিসেবে ড. হাছান মাহমুদ দ্বিতীয় মেয়াদে এমপি হন। তার আগে ২০০১ ও ১৯৯৬সহ তিনবার এ আসন থেকে নির্বাচিত হন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। হাছান মাহমুদের অনুসারীরা বলছেন, এবারো তিনি মনোনয়ন পাবেন। বিগত দিনে রাঙ্গুনীয়ায় তিনি ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এ ধারাবাহিকতা রক্ষায় তাকে দরকার।

অন্যতম মনোনয়নপ্রত্যাশী ডা. ফয়সল ইকবালও এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন। চট্টগ্রাম নগরকেন্দ্রিক পেশাজীবী আন্দোলনের পাশাপাশি রাঙ্গুনীয়ায় রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন তিনি। তার অনুসারীরা বলছেন, পুরো রাঙ্গুনীয়ায় বিশেষ করে উত্তর রাঙ্গুনীয়ায় তার অবস্থান ভালো। পেশাজীবী নেতা হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সক্রিয়। মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তার সমর্থকেরা। আ.লীগ নেতা মো. ওসমান গণি চৌধুরীর অনুসারীরাও আশাবাদী। নেতারা বলছেন, রাঙ্গুনীয়া আ.লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম তার পিতা ওবাইদুর রহমান চৌধুরী এবং বড় ভাই এম. সাদেক চৌধুরীর উত্তরসূরী হিসেবে তিনি দলের নেতাকর্মীদের কাছের মানুষ।

বিএনপির মনোনয়ন পেতে পারেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা তিনিই মনোনয়ন পাবেন। ভোটারদের মধ্যে তিনবারের সাবেক এমপি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সমর্থন আগের মতোই রয়েছে বলে মনে করেন তার অনুসারীরা। এ ক্ষেত্রে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে দলের তৃণমূলের নেতারা প্রার্থী দেখতে চান। গত এক যুগ ধরে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর জুলুম নির্যাতনের পরও তারা সেখানে ঐক্যবদ্ধ আছেন। হুমাম কাদের চৌধুরী অথবা তার পরিবারের কেউ প্রার্থী না হলে দলের মনোনয়ন চাইবেন উপজেলা বিএনপির একাংশের আহŸায়ক শওকত আলী নূর। তার অনুসারীরা বলছেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের সদস্যদের বিকল্প হতে পারেন তিনি। কারণ তার অনুপস্থিতিতে দুঃসময়ে বিএনপির হাল ধরে আছেন তিনি। এলাকায় তার অবস্থানও ভালো। হুমাম কাদের চৌধুরী তার মাধ্যমে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

ইসলামী ঐক্যজোট একাংশের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ এলাকায় আসা-যাওয়া করেন। তিনিও আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন। এলডিপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি মো. নুরুল আলম, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলামও আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আশা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে মহাজোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে বড় দুই দল নির্বাচনে গেলে প্রার্থীর সংখ্যা কমতে পারে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ