পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার নির্দেশদাতাকে শনাক্ত করতে আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। মঙ্গলবার ইস্তাম্বুল সফররত সউদী আরবের চিফ প্রসিকিউটর শেখ সৌদ আল মুজেবকে এ আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে এরদোগান বলেন, সত্যকে আড়াল করার প্রয়োজন নেই, বিশেষ কোনও ব্যক্তিকে রক্ষার মানে হয় না। সউদী আরবের প্রসিকিউটরকে এরদোগান বলেন, কে ১৫ সদস্যকে তুরস্কে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল, সউদী আরবের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে আপনাকে এই প্রশ্ন করতে হবে। তাহলে আপনি উত্তর পেয়ে যাবেন। এরদোগান আরও বলেন, আমাদের বিষয়টি সমাধান করতে হবে। সত্য আড়াল করার কোনও প্রয়োজন নেই। বিশেষ ব্যক্তিকে রক্ষার চেষ্টার কোনও মানে হয় না। তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানান, তুরস্কের প্রসিকিউটর আল মুজেবকে বলেছেন সন্দেহভাজন ১৮ জনকে তুরস্কের বিচার করার জন্য। সউদী কর্মকর্তাদের তাদের স্থানীয় সহযোগিতাকারীদের পরিচয়ও প্রকাশ করতে হবে।আল জাজিরা’র জানিয়েছে, ৭৫ মিনিট ধরে সউদী আরবের শীর্ষ প্রসিকিউটরের সঙ্গে তুর্কি কর্মকর্তাদের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু দুই পক্ষই নিজ নিজ জায়গায় অনড় থাকায় আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। প্রসঙ্গত, তুর্কি বাগদত্তার সঙ্গে বিয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সউদী কনস্যুলেটে প্রবেশ করার পর নিখোঁজ হন ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার কলাম লেখক ও স্বেচ্ছানির্বাসিত সউদী সাংবাদিক জামাল খাশোগি। শুরুতে অস্বীকার করলেও ১৯ অক্টোবর সউদী জানায়, কনস্যুলেটের মধ্যেই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে খাশোগির মৃত্যু হয়। এর দুদিন পরই খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে বলেও স্বীকার করেন সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে তাদের দাবি ছিল, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভুলবশত তার মৃত্যু হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত সউদী কর্তৃপক্ষ এই হত্যাকান্ডকে পূর্বপরিকল্পিত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দাতা হিসেবে সউদী আরবের যুবরাজের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠছে। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।