Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীন-মিয়ানমার রেলসড়ক নির্মাণ নিয়ে আলোচনা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

চীনের সীমান্ত লাগোয়া মুসে শহর থেকে মধ্য মিয়ানমারের মান্দালে শহর পর্যন্ত একটি রেলসড়ক নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন ও মিয়ানমার। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। চীন সীমান্ত থেকে বঙ্গোপসাগর উপকূলে কিয়াকফিউ বন্দর পর্যন্ত একটি উচ্চগতির রেলসড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিল করার চার বছর পর এই নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। মুসের ঠিক উল্টোদিকে সীমান্তের ওপারে রুইলি শহর থেকে কুনমিং প্রদেশের রাজধানী ইউনান পর্যন্ত একটি রেলসড়ক নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে এগিয়ে চলেছে। তবে এই রেল সড়কের সঙ্গে মুসে মান্দালে সড়কের সংযোগ থাকবে কি না তা স্পষ্ট নয়। সীমান্তের দু’পাশের প্রকল্পগুলো চীন-মিয়ানমার ইকনমিক করিডোরের অংশ। মিয়ানমারের কিয়াকফিউ বন্দরসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক কেন্দ্রের সঙ্গে ইউনানকে যোগ করতে এটা চীনের বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিয়াকফিউতে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন নির্মাণ করা হচ্ছে। কিয়াকফিউ উপকূল থেকে ইউনান পর্যন্ত তেল ও গ্যাসের পাইপলাইন ইতোমধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে। এই লাইন মুসে-রুইলি সীমান্ত দিয়ে গেছে। রাখাইন রাজ্যে মুসলিম রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আচরণের জন্য পশ্চিমা দেশগুলো যখন মিয়ানমারকে পরিহার করে চলছে তখন চীনের সামনে তার বিআরআই-সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো এগিয়ে নেয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর জন্য মিয়ানমারের উপর সীমিত নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও চিন্তা করছে পশ্চিমা দেশগুলো। মিয়ানমার সরকারের মন্ত্রী ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাউং তুন সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেন যে, প্রস্তাবিত রেল সড়কম্প্রসারিত হওয়ার খুবই সম্ভাবনা রয়েছে। সাউথ এশিয়ান মনিটর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ