নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
যে দলে রয়েছে ইমরুল কায়েসের মতো ধারাবাহিক পারফরমার, সেই বাংলাদেশ দলকে এখন হারানোর স্বপ্ন দেখা বেশ কঠিনই জিম্বাবুয়ের জন্য। পুরো সিরিজেই দুর্দান্ত পারফর্ম করছেন ইমরুল কায়েস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই হোম সিরিজের প্রথম ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রান করেছিলেন এই ওপেনার। অতিমারমুখী হতে গিয়ে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ফেরেন ৯০ রানে। তবে গতকাল আর সে পথে মাড়ান নি এই ওপেনার। তুলে নিয়েছেন নিজের চতুর্থ ওয়ানডে শতক। সেই সঙ্গে দলে ফিরেই দ্যুতি ছড়িয়েছে সৌম্য সরকারের ব্যাটও। তিনিও পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। এই দুজনের ব্যাটে বাংলাদেশ পেয়েছে ২য় উইকেটে রেকর্ড জুটি। আর তাতেই আরো একটি হোয়াইটওয়াশ উদযাপন করেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের জয়টি ৭ উইকেটের।
দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেই নিজেদের ২৩তম ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করেছিলো বাংলাদেশ। এই নিয়ে এগারোতম হোয়াইটওয়াশের স্বাদ নিলো মাশরাফির দল। তবে কাজটি সহজ ছিলো না বাংরাদেশের জন্য। ২৮৭ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই লিটন আউট! শুরুর এই ধাক্কা সামলে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ জুটি গড়ে তুলেছেন ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার।
তবে শুরুতে ছিলো ঠিক তার উল্টো ছাপ। দলীয় স্কোরে কোন রান না উঠতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওপেনার লিটন শূণ্য রানে ফেরার সে চাপ ওয়ান ডাউনে নামা সৌম্য সরকারকে নিয়ে লম্বা জুটি গড়ে ইতোমধ্যেই জয়ের আভাস ছড়াতে শুরু করেছেন ইমরুল। বাংলাদেশও পাচ্ছে এগারোতম হোয়াইটওয়াশ উদযাপনের উপলক্ষ্য। ৪১ বলেই আটটি চারের সাহায্যে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। ৫৪ বলে ফিফটি করেন সৌম্য।
দুই প্রান্ত থেকে মারমুখি ইমরুল ও সৌম্যকে সামলাতে হিমশিম খায় জিম্বাবুয়ের বোলাররা। রান তোলার ক্ষেত্রে এ দু’জন নিজেদের মধ্যেই যেন প্রতিদ্ব›িদ্বতা শুরু করেন। তাই বেশ দ্রুত গতিতেই রান উঠতে থাকে বাংলাদেশের। তবে ইমরুলের আগেই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সৌম্য। ৮১ বলে নয়টি চার ও চারটি ছক্কায় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। এরপর আরো মারমুখী হতে গিয়ে ৯২ বলে ১১৭ রানে থামে তার বিদ্ধংসী ইনিংসটি। তবে তার আগে ইমরুলকে নিয়ে গড়েন দ্বিতীয় উইকেটে বাংরাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি। এই দু’জন ছাপিয়ে যান ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে করা ২০৭ রানের তামিম-সাকিবের জুটিকে।
তবে এরপর আর খুব একটা এগোননি ইমরুলও। ১১২ বলে ১০চার ও ২ ছক্কায় ১১৫ রানে থামেন তিন ম্যাচের এক সিরিজে সর্বোচ্চ এই রান সংগ্রাক। বাকি পথটুকু মিথুনকে (৭) নিয়ে অনায়েসেই পেরিয়ে যান মুশফিকুর রহিম (২৮)।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটে নেমে মাত্র ৬ রানে ২ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে করে ২৮৬ রান। শেন উউলিয়ামস করেন অপরাজিত ১৪৩ বলে ১২৯ রান, ৭২ বলে এদিনও ৭৫ রান করেন ব্রান্ডন টেলর। ৮ ওভারে ৫৮ রানে ২ উইকেট নেয়া নাজমুল ইসলাম অপুর বাংলাদেশের সফল বোলার।
আরিফুলের অভিষেকের দিনে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করা বাংলাদেশ একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনে মাঠে নামে। অভিষেক হয়েছে অলরাউন্ডার আরিফুল হকের। দলে ফিরেছেন বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার ও বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজকে। টানা দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়া ফজলে মাহমুদ রাব্বি জায়গা হারিয়েছেন একাদশে।
টানা দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়ানো জিম্বাবুয়ে দলে দুটি পরিবর্তন। দলে এসেছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও রিচার্ড এনগাভারা। বাদ পড়েছেন পেসার টেন্ডাই চাটারা ও ব্র্যান্ডন মাভুটা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।