Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জোট, সংলাপ এবং নির্বাচন

মহিউদ্দিন খান মোহন | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অতি সন্নিকটে। শিগগিরই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এর অবশ্যাম্ভাবী প্রতিক্রিয়ায় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নতুন মেরুকরণ। রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন, নির্বাচনী জোট গঠন, একজোট ছেড়ে অন্য জোটে গমন, শত্রু কমিয়ে মিত্র বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এ মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। সরকারের বাইরে থাকা বৃহত্তম দল বিএনপি ওই জোটে যোগ দেয়ায় তা নতুন মাত্রা পেয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে গত ২৪ অক্টোবর সিলেটে মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে। পর্যায়ক্রমে ফ্রন্ট রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোতে এ ধরণের সমাবেশ করবে বলে জানিয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট রাজনীতি বা নির্বাচনে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন আছে পর্যবেক্ষক মহলে। বিএনপি ছাড়া এর অন্য শরিক দলগুলোর পরিচিতি থাকলেও জনগণের মধ্যে তেমন কোনো ভিত্তি নেই। ফলে এ জোট নির্বাচনে অংশ নিলে শরিকদের বিএনপির সাংগঠনিক শক্তির ওপরই নির্ভর করতে হবে বলে মনে করে অভিজ্ঞমহল। 

নির্বাচন বা রাজনীতিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রভাব নিয়ে বিতর্ক থাকলেও তা যে ক্ষমতাসীন মহলে কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তার ছাপ ফেলতে পেরেছে সেটা স্পষ্ট। ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ায় বিচলিত নন- ক্ষমতাসীন দলের নেতারা মুখে এ কথা বললেও তারা যে কিছুটা চিন্তিত তা তাদের কথাবার্তা থেকেই অনুমান করা যায়। সরকারি মহল থেকে ড. কামাল হোসেন ইদানীং যে ধরনের বাক্যবাণের শিকার হচ্ছেন, নিকট অতীতে তা হতে দেখা যায়নি। বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়া শুরু করার পর থেকেই তিনি সরকারি মহলের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে যদি তারা ধর্তব্যের মধ্যেই না অনবেন, তাহলে কেন ড. কামাল হোসেনকে লক্ষ্য করে ধারাবাহিকভাবে সমালোচনার তীর ছুড়ে যাচ্ছেন? তবে, আওয়ামী লীগ এই নতুন রাজনৈতিক জোটকে যে চোখেই দেখুক বা বিবেচনা করুক, দেশবাসীর মধ্যে তা ভালোই প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। তারা মনে করে, এ নতুন জোট আগামী নির্বাচনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। এ বিষয়ে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকগণও তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে চলেছেন। তারা ঐক্যফ্রন্ট গঠনের বিষয়টিকে দেখছেন ইতিবাচক দৃষ্টিতেই।
এ বিষয়ে গত ২৪ অক্টোবর একটি দৈনিক ‘রাজনীতিতে জোটের জট’ শীর্ষক একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, রাজধানীতে পিক-আওয়ারে রাস্তায় যেমন যানজট সৃষ্টি হয়, তেমনি নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতির পিক-আওয়ারে দেখা দিয়েছে জোটের জট। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের বাইরেও অনেক জোট গঠিত হয়েছে, কিছুর আবার গঠন প্রক্রিয়া চলছে। একদিকে জোট গড়ে উঠছে, কোনো কোনোটির পরিধি বাড়ছে, আবার কোনো কোনোটি ভাঙছেও। যেমন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনকে কেন্দ্র করে ভেঙেছে ২০ দলীয় জোট এবং বি. চৌধুরী নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট ও বিকল্প ধারা। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তার মিত্র বৃদ্ধির চেষ্টা করছে, এ জোটে যুক্ত হতে পারে বেশ কয়েকটি দল। এ ছাড়াও ইসলামী দলগুলো মিলে একাধিক জোট, বামপন্থীদের একাধিক জোট, এরশাদের নেতৃত্বাধীন জোটও রয়েছে সক্রিয়। এসব জোটে আবার হাতে গোণা দু’চারটি দলের সাংগঠনিক কাঠামো থাকলেও বেশিরভাগই সাইনবোর্ড ও প্যাড সর্বস্ব। নির্বাচনকে সামনে রেখে এই জোট গঠনের বিষয়টিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখছেন বিশিষ্টজনেরা। এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিশ্বাবদ্যালয় শিক্ষক অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, নতুন দল বা রাজনৈতিক জোট গঠন গণতান্ত্রিক চর্চারই অংশ। এ ধরনের জোটের প্রয়োজন আছে। সে জোট বা দলগুলো যদি গণতন্ত্রের শর্ত পূরণে কাজ করে, তবেই তা কল্যাণময় হবে। আর তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানবাধিকার নেত্রী সুলতানা কামাল বলেছেন, এটা ইতিবাচক দিক। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে যত বেশি বিকল্প পথ তৈরি হবে, গণতন্ত্রের জন্য ততই মঙ্গল।
এদিকে নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সংলাপের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসছে। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে বিরাজমান দূরত্ব কীভাবে কমানো যায় তা নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। বিএনপি ও এর সহযাত্রী দলগুলোর পক্ষ থেকে বার বার সংলাপে বসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হলেও সরকার তাতে গা করছেনা। বরং ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক, যিনি সরকারের মন্ত্রীও, পরিষ্কার করেই বলেছেন, এমুহূর্তে সংলাপের প্রয়োজন নেই, সংলাপ করার মতো সময় এবং পরিবেশও নেই। অপরদিকে এক খবরে বলা হয়েছে, আগামী ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে। আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে ২০ ডিসেম্বর। এ পূর্বাভাস যদি সঠিক হয়, তাহলে নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে সরকার বনাম বিরোধী দলের মধ্যে কোনো ধরণের আলোচনা বা সংলাপের সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ বলেই ধরে নেওয়া যায়। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন নিয়ে সংলাপে বসার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানানো হলেও সরকার যে রকম অনমনীয়তা দেখাচ্ছে, তাতে সংলাপ হবে এমন আশা সুদূরপরাহত বলেই মনে হচ্ছে। তাছাড়া আমাদের দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের দিকে তাকালে সংলাপের ব্যর্থতা ও শক্তির বিজয়ের বিষয়টিই চোখের সামনে ভেসে উঠে। নির্বাচন নিয়ে এ ধরনের ডেডলক পরিস্থিতি এর আগেও হয়েছে এবং সংলাপও হয়েছে। কিন্তু সংলাপ থেকে কোনো ফলোদয় হয়নি। ফয়সালা রাজপথেই হয়েছে। তাই অনেকেই মনে করছেন, বিএনপি এবং এর মিত্ররা যদি রাজপথে ফয়সালা করতে না পারে, অর্থাৎ তাদের দাবি মানতে সরকারকে বাধ্য করতে না পারে, তাহলে হয় এই সরকারের অধীনেই তাদের নির্বাচনে যেতে হবে নাহয় নির্বাচনের বাইরে থাকতে হবে। অন্তত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য থেকে সেটাই অনুমিত হয়। একটি দৈনিককে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, নির্বাচন বানচাল করার জন্যই ঐক্যফ্রন্ট সাত দফা দাবি দিয়েছে এবং সংলাপের কথা বলছে। ওই সাতদফার প্রতিটি দাবি অলৌকিক ও সংবিধানবহির্ভূত। সুতরাং একটি দাবিও মেনে নেওয়া হবে না। তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে দেশে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে না। দেশে শান্তিময় পরিবেশ রয়েছে। আসলে সংলাপের নামে অশুভ খেলার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এর পেছনে অসৎ রাজনৈতিক উদেদ্দশ্যও থাকতে পারে।
অপরদিকে পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে যে, নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার হার্ড লাইনে রয়েছে। যে কোনো মূল্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার বদ্ধ পরিকর। এজন্য প্রয়োজনে আরো কঠোর হবে সরকার। একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, বর্তমান সময়কে ক্রান্তিকাল অভিহিত করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, বাস্তবতার নিরিখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার হার্ড লাইন রয়েছে। প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক এমাজ উদ্দীন আহমদ পত্রিকাটিকে বলেছেন, পায়ের তলায় মাটি নেই বলেই সরকার হার্ড লাইনে রয়েছে। শুরু থেকেই এ সরকার অনমনীয় মনোভাব দেখিয়ে আসছে। তার মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রতিকৃতি নেই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রাণ হচ্ছে সংলাপ। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকলে সংলাপ অপরিহার্য। সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে বিবদমান বিষয়গুলোর নিষ্পত্তির জন্য আলোচনা হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী। অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার হার্ড লাইনে রয়েছে এবং এটাই যথার্থ। এ মুহূর্তে সংলাপের প্রয়োজন নেই। সংবিধান আছে। সংবিধান অনুযায়ী সবকিছু হলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর এবং জাতীয় নির্বাাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ (জানিপপ) প্রধান ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ এ বিষয়ে বলেছেন, ট্রানজিশন পিরিয়ডে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে তৎপর থাকে তস্কররা। তারা যাতে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে না পারে এবং কোনো ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সরকারের হার্ড লাইনে থাকা জরুরি। যেহেতেু নির্বাচন সন্নিকটে তাই আর সংলাপের প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন তিনি। এদিকে গত ২৩ অক্টোবর দলীয় এক সভায় সরকার ও বিরোধী দলের জন্য সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সভাপতি কর্নেল অলি আহমদ(অব.)। তিনি বলেছেন, যতদিন যাবে, বিশৃঙ্খলা হবে। রক্তপাত বৃদ্ধি পাবে। তা এড়াতে বিরোধী দলকে সংযত হতে হবে, পাশপাশি সরকারকেও নমনীয় হতে হবে। কীভাবে সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়, তা নিয়ে সবার সাথে আলোচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন অলি আহমদ।
সরকারের বাইরে থাকা দলগুলো নির্বাচন প্রশ্নে আলোচনা-সংলাপের আহ্বান জানালেও। ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও সরকারের মন্ত্রীদের কথাবার্তায় একটি ড্যামকেয়ার ভাব লক্ষণীয়। নির্বাচন, বিশেষ করে নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে সরকার যে কোনো প্রকার ছাড় দিতে নারাজ, তা ইতোপূর্বেও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। অতীতে দেখা গেছে, নির্বাচন বা অন্য কোনো বিষয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে গুরুতর মত্যপার্থক্য দেখা দিলে তা নিরসনের জন্য সরকারই বিরোধী দলকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানায়। আমাদের দেশের নিকট ইতিহাসেও এর নজির আছে। কিন্তু এবারই দেখা যাচ্ছে ব্যতিক্রম। উদ্ভ‚ত রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য বিরোধী দলই সরকারকে আলোচনার আহ্বান জানাচ্ছে। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না। এর অন্তর্নিহিত কারণটি অবোধ্য নয়। সরকার ধরেই নিয়েছে বিরোধী দল তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে রাজপথ কাঁপানো কোনো আন্দোলন করার সামর্থ্য রাখে না। আর যদি সে ধরনের চেষ্টা তারা করে, তাহলে শক্তি প্রয়োগে তা স্তিমিত করে দেয়ার মতো সক্ষমতা সরকারের রয়েছে। সরকারের এ ধারণা একেবারে অমূলক নয়। কেননা, গত দশ বছরে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি কোনো ইস্যুতেই সরকারকে বিচলিত করার মতো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। কিন্তু সব যাত্রায়ই যে এক ফল হবে, এমন কোনো কথা তো নেই।
দেশবাসী সংঘাত চায় না। তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রয়োগ ঘটাতে চায়। আর জনগণের সে অধিকার নিশ্চিত করতে হলে সরকারকে অবশ্যই বাস্তবতা অনুধাবন করতে হবে। পাশাপাশি বিরোধী দলকে পালন করতে হবে দায়িত্বশীল ভ‚মিকা। কোনো পক্ষের একগুয়েমি বা অপরিনামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণে কোনো অনাকাঙ্খিত পরিবেশ জাতিকে ঘিরে ধরুক, এটা কারোরই কাম্য হতে পারে না।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।



 

Show all comments
  • মামুন ২৭ অক্টোবর, ২০১৮, ৮:২০ এএম says : 0
    নির্বাচনী সংকট নিরাসনে সংলাপের কোন বিকল্প নেই
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন