বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝিনাইদহে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় দুর্বৃত্তদের হাতে ৪ জন অপারেটর আহত হন। দুর্বৃত্তরা শতাধিক স্মার্টকার্ড ছিনতাই, ল্যাপটপ ভাংচুর ও ২২ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। কৃষ্ণপুর গ্রামের সাধারণ ভোটাররা অভিযোগ করেন সরকার সমর্থক পরিচয় দিয়ে কিছু যুবক এই হামলার সাথে জড়িত। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক নুর আলী বাদী হয়ে গতকাল ১১ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বিকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের কেবিপিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার দিন নিয়ম ভঙ্গ করে কৃষ্ণপুর গ্রামের ইজ্জত আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ কার্ড নিতে গিয়ে টিমের অপারেটর মাজেদুল ও সাইদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। এ সময় তারা প্রতিবাদ করলে রশিদ মারার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরপর বিকালে রশিদের নেতৃত্বে আফান মন্ডলের ছেলে মিনারুল, খাইরুল ইসলাম, সিদ্দিকের ছেলে উৎস, আমিরুলের ছেলে জনি মন্ডল, রুহুল আমিনের ছেলে সংগ্রাম, মনিরুলের ছেলে শেখর আহম্মেদ, নাছিরের ছেলে সোহানুর, আশরাফুলের ছেলে টিপু সুলতান, কওছারের ছেলে রাশেদ খান সজল ও মালেক মোল্লার ছেলে মোদাচ্ছের হোসেন হাতুড়ি, লাঠিসোটা ও গাছিদা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তাদের হামলায় কেন্দ্রে কর্মরত নির্বাচন অফিসের স্টাফ ইমদাদুল হক মিলন, তৌহিদুল ইসলাম, ইসরাফিল হক ও গোলাম সারোয়ার আহত হন। দুর্বৃত্তরা ১২০ থেকে ১৩০ টি স্মার্টকার্ড ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। একটি ল্যাপটপ ভাঙচুর করেছে। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট স্বাধীনের কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ ও র্যাব অভিযান চালাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।