বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়ায় স্কুলছাত্র মুতাসসিম বিন মাজেদ ওরফে হৃদয় (১৪) অপহরণ ও হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল বেলা সাড়ে ১০টায় জেলা দায়রা ও জজ আদালতের (নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল) বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন শহরের কালিশংকরপুর এলাকার গাফফার খানের ছেলে সাব্বির খান, হাউজিং এ ব্লকের আজম আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন ড্যানী ও ভেড়ামারা উপজেলার দশমাইল ক্যানেল পাড়ার মৃত মসলেম শেখের ছেলে আব্দুর রহিম শেখ ওরফে ইপিয়ার। রায় ঘোষণার সময় প্রধান আসামি সাব্বির খান উপস্থিত ছিলেন। অন্য দুইজন পলাতক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৩ মে সন্ধ্যায় শহরতলীর মোল্লাতেঘরিয়া পূর্বপাড়া এলাকা থেকে জিলা স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র হৃদয়কে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করে। আটককৃতদের তথ্যানুযায়ী ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়া হাউজিং এলাকা থেকে আজব আলীর ছেলে অপহরণকারী হেলাল উদ্দীন ওরফে ড্যানীকে (২২) আটক করে পুলিশ। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে হৃদয়কে অপহরণ করার কথা অপকটে স্বীকার করে জানায়, ভেড়ামারার ১০ মাইল এলাকার মসলেম শেখের ছেলে আব্দুর রহিম ওরফে ইপিআরের মাধ্যমে অপহৃত হৃদয়কে হত্যা করে ভেড়ামারা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ১০ মাইল নামক স্থানে ফখরুলের ইটভাটার পাশে মিজানুর রহমানের জমিতে লাশ পুতে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে আদালত দীর্ঘ সাক্ষ্য শুনানি শেষে এই হত্যাকাণ্ডে সন্দেহাতীতভাবে আসামিদের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। ফলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি এড. আকরাম হোসেন দুলাল জানান, পুলিশের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে আদালত দীর্ঘ সাক্ষ্য শুনানি শেষে এই হত্যাকাণ্ডে সন্দেহাতীতভাবে আসামির জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় এই রায়ে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেছে আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।