Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রামগতি-কমলনগরে মামলার জালে বিএনপির দেড় হাজার নেতাকর্মী

রামগতি (লক্ষীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০১৮, ১১:১৫ পিএম

লক্ষীপুরের রামগতি-কমলনগর থানায় পুলিশ ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের দায়ের করা মামলায় আটকা পড়েছে বিএনপির দেড় হাজার নেতাকর্মী। এ সব মামলার কারণে গ্রেফতার আতঙ্কে নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারছেন না। অনেকে জেল হাজতে রয়েছেন। কেউ বা দেশের বিভিন্নস্থানে আত্মগোপনে আছেন। জানা যায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াতের প্রায় দেড় হাজার নেতাকর্মীর নামে দুই থানায় ৫৬টি মামলা করে পুলিশ ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয় ৬টি। আসামি করা হয় ১৮২ জনকে। রামগতি থানা পুলিশ বলছে আসামিদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা চলছে। জামায়াত নেতা দেলোয়ার সাঈদির রায়কে কেন্দ্র করে ১৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ১টি মামলা করা হয় রামগতি থানায়। উক্ত মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয় ৩০২ জনকে।
একই ঘটনা কে কেন্দ্র করে কমলনগর থানায় ২০৯ জনের নাম উল্লেখ করে ২টি মামলা দায়ের করা হয়। আসামি করা হয় ১১৫ জনকে। এছাড়া রাস্তা কাটা, গাছকাটা, অগ্নিসংযোগ, মুক্তিযোদ্ধা অফিস ভাঙচুরসহ নানা ধরনের অভিযোগে নামে বেনামে ৫০টির মত মামলায় দেড় হাজার নেতাকর্মীর নামে মামলা রয়েছে। এতে করে বিএনপি জামায়াতের এসব নেতাকর্মীরা পারিবারিকভাবে নেমে এসেছে চরম হতাশা আর বিরক্তির ভাব। নষ্ট হচ্ছে অর্জিত অর্থ। তারা সব সময় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। রামগতি-কমলনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে নেতাদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, দুই উপজেলার ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে মামলা-হামলায় জর্জরিত তারা।প্রতিটি ওয়ার্ড সভাপতি-সম্পাদক, ইউনিয়ন সভাপতি-সম্পাদক প্রত্যেকের নামে ৪/৫ টি করে মামলা রয়েছে। এই সব মামলা সম্পূর্ণ কাল্পনিক, মিথ্যা বানোয়াট বলে তারা জানান। চর কাদিরা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আকরাম হোসেন সাহেদ হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা জানান, এসব মামলায় যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না এবং ঘটনাস্থলে ছিলামও না। অথচ আমাদের নামে ৪/৫টি করে মামলা। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোওয়ার হোসেন হিরণ হাওলাদার সাধারণ সম্পাদক আ: রহিম মেম্বারের বক্তব্যও একই ধরনের। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান বলেন, সরকারের ইন্দনে পুলিশ অন্যায়ভাবে এসব মামলা করেছে। আমি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ