Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ওপেনিং জুটির স্বস্তি

রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ২৮ রানে হেরে ব্যাকফুটে থাকা জিম্বাবুয়ে দল চট্টগ্রামে এসে ঘুরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল। গতকাল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেটে ২৪৬ রানের লড়াকু ইনিংসও গড়ে জিম্বাবুইয়ানরা। যে কোন দলের জন্যেই এমন লক্ষ্য তাড়া করা চ্যালেঞ্জিং। তবে শুরুটা ভালো হলে কাজটা সহজ হয়ে যায়। সেই কাজটাই করলেন টাইগার দলের দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস। ২৪ ওভারে ১৪৮ রানের অসাধারণ জুটিতে সহজ জয়ের ভীত পেয়ে যায় বাংলাদেশ।

এতক্ষণে হয়ত ম্যাচের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা তৃতীয় সিরিজ জয়ের কাব্য রচনা করেছে মাশরাফির দল। ইংলিশ কন্ডিশনে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তামিম-সাকিবের অনুপস্থিতিতে ইমরুল-লিটনের ব্যাটে রান পাওয়া এবং বোলিং অল-রাউন্ডার হিসেবে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ৩ উইকেট প্রাপ্তি বাংলাদেশের জন্যে ভালো খবর বটে। তবে আক্ষেপ রয়ে গেছে ফজলে মাহমুদ রাব্বির ব্যাটিং নিয়ে। এদিনও যে তার ব্যাটিংটা দেখা হলো না! টানা দ্বিতীয় ম্যাচে আউট হলেন শূণ্য রানে। আউটটাও বিরক্তিকর স্টাম্পিং। ইমরুল-লিটনের দারুণ ওপেনিং জুটি হয়ত এই আক্ষেপটা বুঝতে দেয়নি। তবে ৩০ বছর বয়সী রাব্বির জন্যে এটা বড় ধরণের সুযোগ হাতছাড়া বলা যেতে পারে।

লিটনের আউটটা বলতে হবে বেশি তাড়াহুড়োর ফল। বিশেষ করে সেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়ে। ডোনাল্ড ত্রিপানোকে কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে টাইমিংটা ঠিকমত করতে পারেননি। শরীরের চেয়ে বেশ দুরের বলে ক্যাচ দেন সিকন্দার রাজাকে। ইনিংসের চতুর্থ বলেই রিভিউ নিয়ে লেগ বিফোরের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া লিটন শেষ পর্যন্ত খেলেন ৭৭ বলে ১২ চার ও এক ছক্কায় ৮৩ রানের ঝলমলে ইনিংস। জয়ের জন্য বাংলাদেশের তখন লাগে ৯৯ রান। তবে লিটন যে কাজটা পারেননি মুশফিককে নিয়ে সেই পথেই ছিলেন প্রথম ম্যাচে ১৪৪ রান করা ইমরুল। এই রিপোরর্ট লেখা পর্যন্ত তার রান ৯৩ বলে ৭৯। বাংলাদেশের ২ উইকেটে ১৮৬। জয়ের জন্য বাংলাদেশের চায় ১০৪ বলে ৬১।

এর আগে টস জিতে শিশিরের কথা মাথায় রেখে বল বেছে নেন টাইগার দলপতি মাশরাফি। প্রথম দিকে ধাক্কা লাগলেও তার সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল তা বুঝতে দেরি হয়নি। শেষদিকে দারুণ বোলিংয়ে জিম্বাবুয়েকে আড়াইশর মধ্যে আটকে রাখে তার দল। জিম্বাবুয়ের শুরুটা অবশ্য খুব ভালো ছিল না। দলীয় ১৮ রানেই মুশফিকুর রহিমের হাতে সাইফুদ্দিনের শিকার হন মাসাকাদজা (১৪)। দ্বিতীয় উইকেটে অপর ওপেনার ওপেনার জোয়াওকে নিয়ে দ্রুত ৫২ রানের জুটি গড়েন ব্রেন্ডন টেইল। দলকে দেখান বড় স্কোরের স্বপ্ন। মিরাজের বলে ঝুয়াও লং অফে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেও উইলিয়ামসের সঙ্গে ৭৭ রানের আরেকটি দারুণ জুটি গড়েন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। দলকে ১৪৭ রানে রেখে মাহমুদউল্লাহর বলে এলবিডবিøউ হওয়ার আগে ৭৩ বলে ৯টি চার ও একটি ছক্কায় করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৭৫। অল্পের জন্য ফিফটি পূর্ণ করতে না পারলেও দলের রান বাড়াতে ভূমিকা রাখেন দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজা। উইলিয়ামস পেসার সাইফুদ্দিনের বলে উইকেট কিপার মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে করেন ৪৭ রান। আর সিকান্দার রাজা বাংলাদেশ দলপতি মাশরাফির বলে মুশফিককে ক্যাচ দেন ফিফটি থেকে মাত্র এক রান দূরে থাকতে। তার ৬১ বলে করা ৪৯ রানের ইনিংসটিতে ছিল ৩টি চার ও দু’টি বিশাল ছক্কা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওয়ানডে


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ