নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গতপরশু রাতে কলম্বোয় ক্রিকেট ক্যারিয়ারে নতুন এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন ডেভিড ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটসম্যান প্রথমবারের মতো এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আউট হয়েছেন ৯৯ রানে। ১১২ বলে ১২টি চারে নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন তিনি। শতরান করতে পারেননি এক রানের জন্য। কেবল শতক হারানোই নয়, তার আউটটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের সম্ভাবনাও ম্লান করে দেয়। ওয়ার্নারের বিদায়ের পর মনে হয়েছিল সহজেই হেরে যাবে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু অসাধারণ ব্যাটিংয়ে জয়ের স্বপ্ন ধরে রাখেন প্যাট কামিন্স। তার বিদায়ের পরও লড়াই বুঝি তখনই শেষ। কারণ শেষ জুটিতে তখনও প্রয়োজন ১৯ রান। কিন্তু তিন বাউন্ডারিতে জয়টা হাতের নাগালেই নিয়ে আসেন ১০ নম্বর ব্যাটার ম্যাথেউ কুনেমান। শেষ বলে তখন চাই পাঁচ রান। কিন্তু দাসুন শানাকার সেøায়ারে আর পারলেন না। রোমাঞ্চকর এক জয় মিলে শ্রীলঙ্কার।
প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের ২৫৮ রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া শেষ অবধি থেমেছে ২৫৪ রানে। ৪ রানের শ্বাসরুদ্ধকর এই জয়ে ৩০ বছর পর ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজও জিতেছে শ্রীলঙ্কা। সেটিও এমন এক সময়, যখন স্মরণকালের সবচাইতে ভয়াবহ এক সঙ্কটের সঙ্গে যুঝছে দ্বীপ দেশটি। টানা তিন পরাজয়ে সিরিজ হাতছাড়া হওয়ায় আগামীকালের শেষ ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়ার জন্য এখন শুধুই সম্মান রক্ষার। ম্যাচটি আরো বড় আক্ষেপ হয়ে থাকবে ওয়ার্নারের জন্য। তিনিই যে ওয়ানডে ক্রিকেট ৩৫তম ওভাগা, যিনি ৯৯ রানে ফিরলেন! তবে একটা ক্ষেত্রে তিনি মাত্র দ্বিতীয়। অজি ওপনোরের আগে মাত্র একজন ব্যাটসম্যানই ৯৯ রানে স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়েছেন।
ওয়ানডেতে ৯৯ রানে আউট হওয়া ক্রিকেটারদের নামগুলোর দিকে তাকালে চমৎকৃতই হতে হয়। অনেক কিংবদন্তিরই সমাবেশ ঘটেছে এই দলে। ওয়ানডে ইতিহাসে ৯৯ রানে ফেরা প্রথম ক্রিকেটার জেফ্রি বয়কট। ১৯৮০ সালের ২০ আগস্ট ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯৯ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে চালু হওয়া ক্রিকেটের এক দিনের সংস্করণে ৯৯ রানে কোনো ব্যাটসম্যানের ফেরার ঘটনা ঘটে ৯ বছর পর। এ তালিকায় দুজন কিংবদন্তির নাম পাওয়া যাবে একাধিকবার। সনাৎ জয়াসুরিয়া ও শচীন টেন্ডুলকার। জয়াসুরিয়া দুইবার ৯৯ রানে ফিরেছেন (কলম্বো, ২০০১ ও অ্যাডিলেড, ২০০৩)। ভারতের ‘লিটল মাস্টার’ ফিরেছেন তিনবার। এক দিনের ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারই সবচেয়ে বেশিবার ৯৯ রানে আউট হয়েছেন।
৯৯ রানে আউট হওয়া ক্রিকেটারদের তালিকায় এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের একজনই আছেন- মুশফিকুর রহিম। ২০১৮ সালে আবুধাবিতে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে মুশফিক ৯৯ রানে আউট হয়েছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে ৯৯ রানে আউট হওয়া ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আছেন কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত (কটক, ১৯৮৪), ভিভিএস লক্ষ্মণ (নাগপুর, ২০০২), রাহুল দ্রাবিড় (করাচি, ২০০২), শচীন টেন্ডুলকার (বেলফাস্ট, ব্রিস্টল, মোহালি)। মজার ব্যাপার, টেন্ডুলকার তার ক্যারিয়ারে যে তিনবার ৯৯ রানে আউট হয়েছেন, সেই তিনটি ম্যাচই ২০০৭ সালে। বিরাট কোহলি (বিশাখাপত্তম, ২০১৩), রোহিত শর্মাও (সিডনি, ২০১৬) আছেন এ তালিকায়।
পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম ৯৯ রানে ফিরেছিলেন রমিজ রাজা। সেটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে করাচিতে। পাকিস্তানের আর কোনো ক্রিকেটারই এক দিনের ম্যাচে ৯৯ রানে ফেরার দুর্ভাগ্যে পড়েননি। শ্রীলঙ্কার জয়াসুরিয়া ছাড়াও ৯৯ রানে আউট হয়েছেন রমেশ কালুভিতারানা (হারারে, ১৯৯৯), তিলকরত্নে দিলশান (কলম্বো, ২০১৩) ও কুশল পেরেরা (কলম্বো, ২০১৫)। ভারতের পাশাপাশি ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররাও ৮ বার ৯৯ রানে ফিরেছেন, তারা হলেন জেফ্রি বয়কট, অ্যালান ল্যাম্ব, ক্রিস ব্রড, অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ, এউইন মরগান, জস বাটলার, অ্যালেক্স হেলস ও বেন স্টোকস।
ভারত ও ইংল্যান্ডের পর সবচেয়ে বেশিবার ৯৯ রানে ফেরা ক্রিকেটারদের দল দক্ষিণ আফ্রিকার। এ দলে আছেন ল্যান্স ক্লুজনার, গ্রায়েম স্মিথ, এবি ডি ভিলিয়ার্স, জেপি ডুমিনি। ডেভিড ওয়ার্নার ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে আছেন ম্যাথু হেইডেন, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। নিউজিল্যান্ডের স্টিফেন ফ্লেমিং ও লুক রনচি। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো ৯৯ রানে ফেরা একজন করে ক্রিকেটার আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের। তারা হলেন যথাক্রমে ক্রিস গেইল, পল স্টার্লিং ও চামু চিভাভা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।