নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অল্পের জন্য স্বপ্নটাকে রঙিন করে রাঙাতে পারলনা বাংলাদেশ। আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের স্বপ্ন ভঙে আক্ষেপে পুড়ছে বাংলাদেশের নারীরা। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ উজ্জীবিত বোলিং-ফিল্ডিংয়ে মেলে ধরে নিজেদের। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুটিয়ে দেয় ২০৭ রানে।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট হাতে উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ৬৯ রান। কিন্তু তার পরও পারেনি বাংলাদেশ। মাঝের ব্যাটাররা সুবিধা করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হেরে যায় ৩২ রানে। ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণীতে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগারের কণ্ঠে ছিল সেই বিষাদের ছোঁয়া। তিনি বলেন,‘আমাদের শুরুটা দারুণ ছিল। বোলাররা খুব ভালো করেছে। এটা আমাদের সেরা সুযোগ ছিল। যদি ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারতাম, আমরা জিততে পারতাম।’
এছাড়া তিনি বলেন,‘দুই ওপেনার খুব ভালো শুরু করেছিল। মাঝের ওভারগুলোয় আমরা খুব বেশি উইকেট হারিয়েছি। ওই সময়টায় জুটি গড়তে পারলে ৪৫ ওভারের মধ্যে ম্যাচ শেষ করতে পারতাম।’
ভালো শুরুর পর দ্রতই উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। পরে নিগার ও রিতু মনি ৫৩ রানের জুটি গড়লেও তা যথেষ্ট হয়নি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক দায় দিলেন জুটি গড়তে না পারাকে। তিনি বলেন,‘বোলাররা আমাদেরকে খুব ভালো একটা শুরু এনে দিয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ডিসেন্ট একটা স্কোরে আমরা আটকাতে পেরেছি। ব্যাটিংয়েও খুব ভালো শুরু করেছি। কিন্তু মাঝের ওভারে ৩-৪টি মূল্যবান উইকেট আমরা হারিয়েছি। জুটি না হওয়াতেই শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা আমাদের হাতে আসতে পারেনি।’
উদ্বোধনী জুটিতে ৬৯ রান এলেও খানিকটা প্রশ্ন তোলা যায় রান তোলার গতি নিয়ে। ১১৯ বল লেগে যায় ওই রান তুলতে। শামিমা সুলতানা ও শারমিন আক্তারের যখন রানের গতি বাড়ানোর কথা, আউট হয়ে যান দুজনই।
গত নভেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ওপেনিংয়ে বেশ ধারাবাহিক ছিলেন মুর্শিদা খাতুন। এরপর মালেয়েশিয়ায় কমনওয়েলথ গেমস বাছাইপর্বেও তিনি ছিলেন বেশ সফল। স্টাইলিশ এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের হাতে শট আছে বেশ, শুরুর পাওয়ার প্লে ওভার যিনি কাজে লাগাতে পারেন ভালোভাবে। তাকে এই ম্যাচে চারে নামায় দল। তিনি আউট হন শূন্য রানে।
এছাড়া ক্যাপ্টেন নিগার বলেন,‘এটা আমাদের পরিকল্পনাতেই ছিল। গত কিছুদিনে মুর্শিদার ব্যাটিং দেখছিলাম, ওখানে (ওপেনিংয়ে) খুব একটা স্বস্তিতে ছিল না। নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি যে ম্যাচগুলি খেলেছি, সেখানে চার নম্বরে ভালো করেছিল ও। এজন্যই পরিকল্পনা ছিল ওকে ওখানে খেলাব। আমার কাছে মনে হয় ওর যে মান এবং ও যেভাবে খেলে, আজকে তা করতে পারেনি। পরের ম্যাচে অবশ্যই পারবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।