নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে চলমান বিতর্কে যোগ দিয়েছেন ইংল্যান্ডের মঈন আলী। তার মতে ওয়ানডে এখন বিরক্তিকর সংস্করণে পরিণত হয়েছে। খেলোয়াড়রা এতে হারিয়ে ফেলেছেন আগ্রহ। আগামী দুই বছরের মধ্যে ওয়ানডে ক্রিকেটের মরে যাওয়ার শঙ্কাও দেখছেন তিনি। ওয়ানডে নিয়ে চলমান আলাপের সূত্রপাত মঈনের সতীর্থ বেন স্টোকসের ওয়ানডেকে বিদায় জানানোর পর। ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক বাকি দুই সংস্করণকে গুরুত্ব দিয়ে নিজের উপর চাপ কমাতে ছেড়ে দেন ওয়ানডে।
অথচ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে জিতিয়েই বেশি খ্যাতি পেয়েছিলেন তিনি। একই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি লিগের জন্য ওয়ানডে সুপার লিগের পয়েন্ট ছেড়ে দেওয়ায় যোগায় ভাবনার খোরাক। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম তো ওয়ানডে বাতিলই করে দেওয়ার আহবান জানান। উসমান খাওয়াজা, রবীচন্দ্রন অশ্বিনের মতো বর্তমান ক্রিকেটাররাও জানান আগ্রহ নেই এই সংস্করণে।
রবি শাস্ত্রী, শহিদ আফ্রিদিরা ওভার কমিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। দ্য হানড্রেড টুর্নামেন্ট চলাকালে বার্মিংহাম ফনিক্সের হয়ে খেলা মঈন ওয়ানডে নিয়ে জানান নিজের নৈরাশ্যের কথা, ‘এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে ওয়ানডের অবস্থা নড়বড়ে। কিছু একটা না করলে বছর দুয়েকের মধ্যে ওয়ানডে ক্রিকেট হারিয়ে যেতে পারে। আসলে এটি এখন দীর্ঘ ও বিরক্তিকর এক সংস্করণ হয়ে গেছে। এখন টি-টোয়েন্টি আছে, টেস্ট যা দারুণ এক সংস্করণ। ৫০ ওভারের খেলা পড়ে গেছে মাঝামাঝি অবস্থায়। এই কারণে এটিকে কোন গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে না।’
ক্রিকেটাররা এখন বেছে বেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে চাইছেন, সময় দিতে চাইছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে। সেদিক থেকে ওয়ানডে তাদের কাছে যেন বাড়তি বোঝা। মঈন ইঙ্গিত দিলেন বয়সের কথা মাথায় রেখে ইচ্ছা থাকলেও তিনি সব খেলতে পারবেন না, ‘আরও দুইটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আসতে যাচ্ছে, যা আকর্ষণীয়। এসবের জন্য ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা মিস করলে সেটা দুঃখজনক। আমার বয়স কম থকতে আমি বিশ্রাম নিতে চাইতাম না।’
চলতি মৌসুমে ইংল্যান্ডের ছিল ঠাসা সূচি। ২৫ দিনে তাদের খেলতে হয়েছে ১৩টি সাদা বলের ম্যাচ। সামনেও আছে তীব্র সূচি জট। অন্য দলগুলোর অবস্থাও কাছাকাছি। এই ঝক্কি থেকে বাঁচতে অবসরের সংখ্যা বাড়বে বলে শঙ্কা তার, ‘আমার মনে হয় এখন অনেক বেশি খেলা হচ্ছে। এত বেশি টুর্নামেন্ট আসছে, ক্রিকেটারদেরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ঘন ঘন অবসরের খবর মিলছে। শিগগিরই দেখবেন আরও অনেকে অবসর নিবে। কারণ এত ঠাসা সূচি।’
ওয়ানডে নিয়ে নানান নেতিবাচক কথা হলেও আইসিসি বলছে এফটিপিতে যথেষ্ট ওয়ানডেই রাখছে তারা। তবে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ২০২৩-২০২৭ চক্রে কমছে ওয়ানডের সংখ্যা। বাতিল হয়ে যাচ্ছে ওয়ানডে সুপার লিগও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।