নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
তিন দিন পার করেছে জাতীয় লিগের চারটি ম্যাচ। কিন্তু কোন ব্যাটসম্যানই পাননি তিন অঙ্কের দেখা। এ থেকেই বোঝা যায় চতুর্থ রাউন্ডে এসে কতটা বোলারদের সুরে কথা বলছে হেমন্তের পিচ। অন্তঃত তিন ম্যাচে জয়-পরাজয় তাই এখন সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে।
ভিন্ন সুরে কথা বলছে কেবল খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের উইকেট। স্বাগতিকদের পানসে বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে তিন অঙ্কের কাছে গিয়েও তা ছুঁয়ে দেখতে পারেননি রাজশাহীর ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। জাতীয় দলে নিষিদ্ধ ডানহাতি মিডিল অর্ডার ঘরোয়া লিগে কাটাচ্ছেন মন্দ সময়। শেষ পর্যন্ত তার ব্যাট হাসলেও পুড়তে হয়েছে মাত্র এক রানের আক্ষেপে। সেটাও ৯ বলের সাবধানী বিরতির পর ৯৯ রানে দাঁড়িয়ে রান আউট হন তিনি। তার মাধ্যমেই ভাঙে ষষ্ঠ উইকেটে মুক্তারের সঙ্গে গড়া ১১২ রানের জুটি। আরো দুই ফিফটি ও চারটি চল্লিশোর্ধো ইনিংসে ৯ উইকেটে ৪১৮ রান তুলে দিন শেষ করে রাজশাহী। ১০৯ রানে এগিয়ে তারা। দুই দলের প্রথম ইনিংসও এখনো শেষ হয়নি। ড্র-ই তাই এখানে সম্ভব্য ফল।
প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে জয়ের জন্য বরিশালের চায় ১৫৯ রান, আর রংপুরের ৭ উইকেট। ৭৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দিন শুরু করা রংপুর অল আউট হয় ২২৯ রানে। ঘুর্ণী বলে ৫ উইকেট নেন মনির হোসেন। ১৮০ বলে লড়াকু ৬৭ রানের সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেন মাহমুদুল হাসান, ১৬২ বলের ধীর ব্যাটিংয়ে ৩৫ রান করেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। জবাবে ৩ উইকেটে ৭১ রান তুলে দিন শেষ করে বরিশাল।
দ্বিতীয় স্তরের দুটি ম্যাচও যাচ্ছে নিশ্চিত জয়-পরাজয়ের দিকে। শেষ দিনে ঢাকাকে হারাতে আর ৮৯ রান করলেই চলবে চট্টগ্রামের, হাতে রয়েছে ৮ উইকেট। হাতের দুই উইকেটে এদিন তারা প্রথম ইনিংসের সাথে ১৫ রান যোগ করে ৩০০ পূর্ণ করে। জবাবে ৪৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া ঢাকা শেষ পর্যন্ত ১৫১ রান তুলতে সক্ষম হয়। চট্টগ্রামের সামনে দাঁড়ায় ২০২ রানের লক্ষ্য। যে লক্ষ্যে ২ উইকেটে তারা তুলে ফেলেছে ১১৩ রান। অবিচ্ছিন্ন ৯১ রানের জুটিতে ব্যাট করছেন মুমিনুল হক ও তাসামুল হক। আগুন ছুটছে প্রথম ইনিংসে শূণ্য করা মুমিনুলের ব্যাটে (৫৯ বলে ৬২*)।
রাজশাহীতে জয়ের সম্ভাবনা আছে দুই দলেরই। এজন্য ঢাকা মেট্রোর চায় ১৬৯ রান, সিলেটের নয় উইকেট। তাতের দুই উইকেটে এদিন ৩৩ রান যোগ করে ৩০০ রানে অল আউট হয় ঢাকা। এদিন এক উইকেট নিয়ে ইনিংসে ৫ উইকেটের কোটা পূর্ণ করেন খালেদ আহমেদ। জবাবে কাজি অনিকের পেস বোলিং তোপে ১৮৪ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট। ১৯ বছর বয়সী তরুণ ১৪.২ ওভারে ৫৭ রানে নেন ৫ উইকেট। মেট্রোর সামনে দাঁড়ায় ১৯৭ রানের লক্ষ্য। ১ উইকেটে ২৮ রান তুলে সেই লক্ষ্যে ভালোমতই আছে মার্শাল আয়ুবের দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (৩য় দিন শেষে)
খুলনা-রাজশাহী, খুলনা (১ম স্তর)
খুলনা ১ম ইনিংস: ৩০৯
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ১৫১ ওভারে ৪১৮/৯ (আগের দিন ২০২/৫)(সাব্বির ৯৯, মুক্তার ৪৭, সানজামুল ৬৪, শফিকুল ৮*, সাকলাইন ০*; আল আমিন ২/৭৭, মইনুল ২/৬৩, সৌম্য ২/৫৬)।
রংপুর-বরিশাল, রংপুর (১ম স্তর)
রংপুর : ১৪৭ ও ১০৪.৫ ওভারে ২২৯ (আগের দিন ৭৭/৩) (মাহমুদুল ৬৭, শুভ ৩৫, ধীমান ৩১, সাজেদুল ২৭*; রাব্বি ২/৩৫, মনির ৫/১২, সোহাগ গাজী ২/৬৫)।
বরিশাল : ৫০ ওভারে ১৪৭ ও ২৫ ওভারে ৭১/৩ (লক্ষ্য ২৩০) (আল-আমিন ৩৫*, শামসুল ৯*; রবিউল ২/২২, শুবাশিস ১/২০)।
ঢাকা-চট্টগ্রাম, কক্সবাজার (২য় স্তর)
ঢাকা : ২৮৮ ও ৪৭ ওভারে ১৫১ (নাজমুল ৩৯, মাহবুবুল ৩৮*; ইরফান ৩/২৮, রানা ২/২৯, নাঈম ৩/৩৯)।
চট্টগ্রাম : ১০০.১ ওভারে ২৩৮ (দ্বিতীয় দিন শেষে ২২৩/৮) (নাঈম ২৮; মোশাররফ ৩/৬৩, তাইবুর ২/৩৮) ও (লক্ষ্য ২০২) ২৪ ওভারে ১১৩/২ (মুমিনুল ৬২*, তাসামুল ৪৬*; শাকিল ১/১২, শুভাগত ১/৩৯)।
সিলেট-ঢাকা মেট্রো, রাজশাহী (২য় স্তর)
সিলেট ১ম ইনিংস : ৩১২ ও ৬৩.২ ওভারে ১৮৪ (ইমতিয়াজ ২৭, জাকির ২৬, রাজিন ২৫, এনামুল ৩৬; শহিদুল ৩/২৯, অনিক ৫/৫৭)।
৮৭ ওভারে ৩০০ (আগের দিন ২৬৭/৮) ও ৯ ওভারে ২৮/১ (সাদমান ১১*, সৌকত ৫, শামসুর ৭; এবাদত ১/৯)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।