নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে শুরুতেই কঠিন পরীক্ষায় নামতে হচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েদের। টুর্নামেন্টের ‘ডি’ গ্রæপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ লাল-সবুজরা মুখোমুখী হচ্ছে শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার। তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবের পামির স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বেলা তিনটায় শুরু হবে ম্যাচটি।
ম্যাচকে সামনে রেখে গতকাল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন নিজ দলকে নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে তিনি স্বীকার করে নেন প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া বেশ শক্তিশালী। ছোটন বলেন,‘বাছাই পর্বে আমাদের প্রথম ম্যাচেই কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়া বেশ শক্তিশালী দল। তারা এশিয়ার নারী ফুটবলে দীর্ঘদিন ধরে রাজত্ব করছে। তবে আমার মেয়েরা সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে ইতিবাচক ফল আশা করা যায়।’
দলের প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার দলের মেয়েরা দীর্ঘ প্রায় একবছর ধরে একসঙ্গে অনুশিলন করছে। মাঝে বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্ট খেলেছে তারা। এ মেয়েরাই সপ্তাহ দু;য়েক আগে ভুটানে সাফ অনুর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আশা করছি সাফের অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগাবে তারা। বাংলাদেশ অধিনায়ক মিশরাত জাহান মৌসুমী বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে লড়াই করবো। এবং পরের দুই ম্যাচেও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামবো। চাইনিজ তাইপে আর তাজিকিস্তানকে হারাতে পারলে পরের রাউন্ডে যাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা।’
নারী ফুটবলে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে এখন পর্যন্ত মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। গত বছর এএফসি অনুর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের চ‚ড়ান্ত পর্বের ওই ম্যাচে ৬-০ গোলে হেরেছিল লাল-সবুজরা। তারপরেও সাম্প্রতিক পারফরমেন্সের কারণে বাংলাদেশকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। ম্যাচের আগে দলটির প্রধান কোচ হাট জং জু বলেন, ‘নারী ফুটবল বাংলাদেশ ইতিবাচক উন্নতি করেছে। বাংলাদেশের এই দলটির সর্ম্পকে আমার সামান্য ধারনা আছে। এটি অনুর্ধ্ব-১৮ বছর বয়সী একটি দল। সম্প্রতি সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তারা এখানে এসেছে। আমার মনে হয় আগামীকাল (আজ) একটি প্রতিদ্বন্ধীতাপূর্ণ ম্যাচ হবে।
এটি বাছাই পর্বের প্রথম রাউন্ড। এই রাউন্ড শেষে ছয় গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা দুই রানার্সআপ খেলবে দ্বিতীয় রাউন্ডে। আর দ্বিতীয় রাউন্ডের সেরা চার দল খেলবে চুড়ান্ত পর্বে। বাছাই পর্বের সেরা চার দলের সঙ্গে চুড়ান্ত পর্বে সরাসরি খেলার সুযোগ পাচ্ছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন জাপান, রানার্সআপ উত্তর কোরিয়া, তৃতীয় চীন এবং স্বাগতিক থাইল্যান্ড। মোট আট দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে চুড়ান্ত পর্ব। আগামী বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে থাইল্যান্ডে আট দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে চুড়ান্ত পর্ব। বাছাইয়ে বাংলাদেশ পরের দু’ম্যাচ খেলবে ২৬ অক্টোবর চাইনিজ তাইপে ও ২৮ অক্টোবর তাজিকিন্তানের বিপক্ষে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।