নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এএফসি অনুর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে ‘এফ’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বড় জয় পেয়েও স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশের কিশোরীরা। কারণ তাদের সঙ্গে সমান তালেই এগিয়ে চলেছে ভিয়েতনাম। তিন ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের পয়েন্ট ও গোলগড় সমান হওয়ায় গ্রুপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে শেষ ম্যাচে জয় পেতেই হবে লাল-সবুজদের। আর এ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ সেই ভিয়েতনাম। শনিবারই মুখোমুখী হচ্ছে এ দুই দল।
শুক্রবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে যথারীতি বড় জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম। এদিন সকালে কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে ভিয়েতনাম ৭-০ গোলে হারায় লেবাননকে। একই মাঠে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ৭-০ ব্যবধানের জয় পায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে।
শুক্রবার দিনের প্রথম ম্যাচে ভিয়েতনাম ৭ গোলে জেতার পর তালিকার শীর্ষে ওঠার জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৮ গোলের জয়। কিন্তু লাল-সবুজের মেয়েরা সাতটির বেশী গোল দিতে পারেনি আমিরাতকে। যে কারণে তিন ম্যাচ শেষে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয়স্থানেই থাকতে হলো স্বাগতিকদের। আমিরাতের বিপক্ষে বৃষ্টি বিঘিœত ম্যাচে প্রথমার্ধে ৫-০ গোলে এগিয়ে ছিলো বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দিয়ে ৭ মিনিটে গোল আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। এসময় বল নিয়ে তহুরা খাতুন আমিরাতের বক্সে ঢুকলে তাকে ফেলে দেন প্রতিপক্ষ দলের ঘালিয়া রামাধান। উত্তর কোরিয়ার রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট শটে গোল করেন শামসুন্নাহার (১-০)। ম্যাচের ২৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। বাম প্রান্ত থেকে আখি খাতুনের ক্রস আনুচিং মগিনির হেড দ্বিতীয়বারে জাল কাঁপায় (২-০)। যমজ দুই বোন আনাই মগিনি ও আনুচিং মগিনির অসাধারণ কম্বিনেশনে ৩৫ মিনিটে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৩-০ গোলে। ডান দিক দিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ক্রস নেন আনাই। তার বোন আনুচিং দর্শণীয় হেডে গোল করেন। দুই মিনিট পর হ্যাটট্রিক পূর্ন করেন আনুচিং। আনাই মগিনির ক্রস ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করলে বল যায় আনুচিংয়ের সামনে। দর্শণীয় ব্যাকভলিতে গোল করেন আনুচিং (৪-০)।
প্রথমার্ধের যোগকরা সময়ে আমিরাতের আত্মঘাতি গোলে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৫-০ ব্যবধানে। মনিকা চাকমার কর্নার হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল পাঠান আলিয়া হুমাইদ।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুতেই গোল পাচ্ছিলেন না সাজেদা, আনুচিংরা। মাঝমাঠে একক প্রাধান্য নিয়ে বারবার আমিরাতের রক্ষণদূর্গ ভেঙ্গেও গোল আদায় করতে পারছিল না বাংলাদেশ। আমিরাতের গোলরক্ষক হুদা হুসাইন দুর্দান্ত সেভ করে গোল বঞ্চিত করে স্বাগতিকদের। তবে ৭১ মিনিটে দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম গোল পায় বাংলাদেশ। আনাই মগিনি বাম দিক দিয়ে বক্সের বাইরে থেকে শট নিলে বল গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে আশ্রয় নেয় ৬-০)।
লাল-সবুজের কিশোরীরা সপ্তম গোল করে ম্যাচের যোগকরা সময়ে। গোলদাতা বদলি খেলোয়াড় ইলামনি (৭-০)। এ নিয়ে বাংলাদেশ ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট এবং ২৫ গোল করে সমান অবস্থানে ভিয়েতনামের। এর আগে তারা প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে ১০-০ গোলে বিধ্বস্ত করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে লেবাননকে উড়িয়ে দেয় ৮-০ ব্যবধানে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।